কলকাতা, 3 এপ্রিল: কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গ হিসেবে গোটা পৃথিবী বেছে নিয়েছে আইসোলেশন এবং সামাজিক দূরত্বকে । চিকিৎসকদের পরামর্শ, বারবার ধুতে হবে হাত । ব্যবহার করতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার । সেভাবে না হয় হাতের জীবাণু আটকানো গেল কিন্তু বাজার থেকে আনা শাকসবজি, মাছ-মাংস কিংবা দুধের প্যাকেটের মধ্য দিয়ে ঢুকে পড়ছে না তো ভাইরাস ? আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে । অনেকেই খুঁজছেন এর থেকে মুক্তির উপায় । সত্যি কি কোনও উপায় আছে ? চিকিৎসক ও ডায়েটিশিয়ানদেরই বা মত কী ?
কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক শুদ্ধসত্ত্ব সেন কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রয়েছেন সামনের সারিতে । তিনি এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন । যে কোনওভাবে ভাইরাস বাড়িতে প্রবেশ করতেই পারে । তাহলে এর থেকে মুক্তির উপায় কী ? তিনি বলেন, “ দুধ, বিস্কুট সহ কিছু খাবার যেগুলো প্লাস্টিকে মোড়া থাকে সেগুলি 75% স্পিরিট দিয়ে মুছে নিতে হবে । কারণ সেগুলি বহু হাতবদল হয়ে আপনার বাড়িতে ঢুকছে । কার হাতের ছোঁয়ায় ভাইরাস কীভাবে অলক্ষ্যে ঢুকে পড়বে তা বোঝার উপায় নেই । আর বাজার থেকে শাকসবজি, মাছ-মাংস আনলে সেটি বেশিক্ষণ ধরে জলে ডুবিয়ে রাখুন । তারপর উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে অসুবিধা হবে না । কারণ উচ্চ তাপমাত্রায় কিছু বেঁচে থাকে না ।"
শাক-সবজি থেকে দুধ-বিস্কুটের প্যাকেট, স্যানিটাইজ় করবেন কীভাবে ?
বাইরে থেকে আনা শাকসবজি, মাছ-মাংস কিংবা দুধের প্যাকেটের মধ্যে দিয়ে ঢুকে পড়ছে না তো ভাইরাস ? এর থেকে মুক্তির উপায় কী ?
শহরের এক নিউট্রিশনিস্ট বিজয়া আগরওয়াল বলছেন, "এইসময় পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি । সাধারণভাবে কোরোনা তাদেরই কাবু করছে যাদের ইমিউনিটি খুব ভালো নয় বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা আছে । এইসময় যে খাবারগুলো শক্তি বাড়ায় সেগুলো খেতে হবে । যেমন হলুদ, আদা, রসুন । পাশাপাশি প্রচুর জল পান করতে হবে । খেতে হবে শাকসবজি, ডাল সহ পুষ্টিকর খাবার ।" তবে সবজির বা খাবারের প্যাকেটের মধ্য দিয়ে ভাইরাস ঘরে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এক্ষেত্রে বিজয়ার দাওয়াই, "কেউ যদি হলুদ, রসুন বা আদা খান তবে সেটি কিছুক্ষণ পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন । এই সময় কোনও শাক-সবজি কাঁচা না খাওয়াই ভালো । বাজার থেকে আলু জাতীয় জিনিস আনলেও তা বেশ কিছুক্ষণ জলে ডুবিয়ে রেখে শুকনো করে নিন ।" সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, "মাছ, মাংস কোনওভাবেই যেন আধসেদ্ধ না খাওয়া হয় । উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নার পরই শাক-সবজি, মাছ, মাংস খেতে হবে । তবেই সংক্রমণের সম্ভাবনা কমবে । দুধ, দই, প্যাকেটজাত মাংসের মতো জিনিসের ক্ষেত্রে প্যাকেটগুলো খুব ভালোভাবে সাবান জলে ধুয়ে নিতে হবে । তবেই সংক্রমণ এড়ানো যাবে ।"