কলকাতা, 7 অগস্ট: তিলজলার পর বেহালা, টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটানো নিয়ে কলকাতা পুলিশের অদক্ষতা আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে ৷ তান্ত্রিকের কথায় প্রতিবেশীর শিশুকন্যাকে হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল তিলজলা এলাকা ৷ সেই সময়ও কলকাতা পুলিশে টিয়ার সেল ছোড়ার অনভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ৷ এবার বেহালার পথ দুর্ঘটনায় স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুতেও সেই একই অভিযোগ ৷ তাই কখন, কীভাবে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাতে হবে ? কীভাবে ছুড়লে বিপদ এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে ? এই সব নিয়ে কলকাতা পুলিশের বাহিনীকে দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-নগরপাল পদমর্যাদার এক আধিকারিক একথা জানান ৷
ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, একজন জয়েন্ট সিপি বা যুগ্ম-নগরপাল পদমর্যাদার আধিকারিক বাহিনীকে এই প্রশিক্ষণ দেবেন ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, শহরের প্রত্যেকটি থানার বাছাই করা পুলিশ কর্মী এবং অফিসার ইনচার্জ পদমর্যাদার একজন আধিকারিককে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ৷ সেখানে প্রশিক্ষিত পুলিশ কর্মীর সংখ্যা 2-3 হতে পারে বলে জানা গিয়েছে ৷ এই বিশেষ প্রশিক্ষণ রপ্ত করতে পারলে, যে কোনও বড়সড় বিপর্যয়ের সময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা সহজ হবে ৷ টিয়ার গ্যাসের সেল থেকে বড় বিপদ এড়িয়ে কাজ করতে পারবেন পুলিশ কর্মীরা ৷
যুগ্ম-নগরপাল পদমর্যাদার ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, এই বিশেষ প্রশিক্ষণ খুব শীঘ্রই চালু করা হবে ৷ কলকাতা পুলিশের ট্রেনিং স্কুল, অর্থাৎ পিটিএস-এ প্রাথমিকভাবে এই প্রশিক্ষণ শুরু করতে চাইছে লালবাজার ৷ বেহালা চৌরাস্তায় বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল সরকারের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল ৷ অভিযোগ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে যে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটানো হয়েছিল, তা এক মহিলার গায়ে লাগে ৷ বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ এমনকি বড়িশা হাইস্কুলের ভিতরেও টিয়ার সেল ছোড়ে কলকাতা পুলিশের বাহিনী ৷
আরও পড়ুন:তিলজলা থেকে শিক্ষা, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ায় বিশেষ প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করছে কলকাতা পুলিশ
যে ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ? কীভাবে কোনও পুলিশ কর্মী স্কুলের ভিতরে টিয়ার সেল ফাটাতে পারেন ? সেই টিয়ার সেলের ধোঁয়ায় বহু ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ৷ স্কুলের ভিতরেই তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় ৷ পুলিশের এমন অবিবেচকের মতো কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল খোদ লালবাজারের আইপিএস মহলের মধ্যেই ৷ পুরো বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনার পর, লালবাজারের শীর্ষ আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নেন প্রতিটি থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মী এবং একজন অফিসার ইনচার্জকে টিয়ার সেল ফাটানোর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ৷