কলকাতা, ১৭ ফেব্রুয়ারি : ভারত সেবাশ্রম সংঘের সহযোগিতায় গড়ে তোলা হচ্ছে হোমিওপ্যাথিক ক্যানসার হাসপাতাল। অ্যালোপ্যাথি বা কেমোর প্রয়োগ ছাড়াও ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরও নানা ওষুধ সংক্রান্ত ম্যানেজমেন্ট থাকে যেগুলি ক্যানসার রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে। তাই এবার ভারত সেবাশ্রম সংঘের সহযোগিতায় গড়ে তোলা হচ্ছে হোমিওপ্যাথি ক্যানসার হাসপাতাল।
একটি বেসরকারি ক্যানসার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং ভারত সেবাশ্রম সংঘের সহযোগিতায় এই হাসপাতালের প্রথম পদক্ষেপ শুরু হল আজ। আজ থেকেই চালু হল হাসপাতালের বহির্বিভাগ। দক্ষিণ দমদমের ক্ষুদিরাম বসু সরণিতে এই আউটডোর বিভাগের দ্বারোদ্ঘাটন করেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ।
তিনি বলেন, "ইতিমধ্যে ক্যানসার চিকিৎসার নানা বিষয় নিয়ে কাজ করছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ। এবার হোমিওপ্যাথিতে ক্যানসার চিকিৎসার উপর ২০টি শয্যার হাসপাতাল তৈরি হতে চলেছে। আজ কালিন্দীতে আউটডোর বিভাগ চালু করা হল। তবে হাসপাতাল তৈরি করার জন্য যে জায়গার প্রয়োজন কালিন্দীতে পর্যাপ্ত জমি না থাকায় অন্য কোথাও সেই হাসপাতাল তৈরি করা যায় কি না তার জন্য জায়গার খোঁজ করা হচ্ছে।"
তিনি আরও জানান, ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি ছাড়াও অন্যান্য কিছু ম্যানেজমেন্ট লাগে। রক্ত দেওয়া, IB ফ্লুইড চালানো, স্যালাইন দেওয়া, অক্সিজেন দেওয়া এগুলি কোনও প্যাথির মধ্যেই পড়ে না। অথচ প্রত্যেকটা প্যাথিতে এর প্রয়োজন আছে। এখানে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার পাশাপাশি সেইসব ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা করে যত শীঘ্র সম্ভব এই হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। আজ থেকে যে আউটডোর সেন্টার চালু হল সেখানে ন্যূনতম খরচে এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে।
মহারাজ জানান, বেশ কিছু বিদেশি ওষুধ যেগুলি ক্যানসারের ব্যথা কমানোর জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়েছে, সেই ওষুধ গরিব মানুষের মধ্যে কম খরচে দেওয়া যায় এই আউটডোরের লক্ষ্য সেটাই। এছাড়া হোমিওপ্যাথির চিকিৎসার সঙ্গে যোগ চিকিৎসারও যাতে পরিষেবা দেওয়া যায় তারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রণবানন্দ যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক পীযূষ চ্যাটার্জি, বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজ়ি আবদুল রহিম, স্থানীয় পৌরমাতা মুনমুন চ্যাটার্জি ও দক্ষিণ দমদম পৌরসভার পৌরপ্রধান পাঁচু রায় প্রমুখ।