কলকাতা, ১8 অক্টোবর : অবশেষে ছাত্রভোট করানোর অনুমতি দিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর । তবে, তা শুধুমাত্র একক বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধীনে কোনও কলেজ নেই তাদেরই । গতকাল একটি নির্দেশিকা দিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তর রাজ্যের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রভোট করানোর অনুমতি দিয়েছে ।
ছাত্রভোট করানোর অনুমতি পেল একক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি
রাজ্যের একক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ছাত্রভোট করার অনুমতি দিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর । এরপর যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতী ও ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় সুবিধামতো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচন করাতে পারবে ।
যে চারটি একক বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রভোট করানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতী ও ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় । বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঠানো এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে ও আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে জানানো হচ্ছে, আপনারা আপনাদের সুবিধামতো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচন করাতে পারেন ।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে বলেন, "রাজ্যের একক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে, যেগুলির অধীনে কোনও কলেজ নেই, তাদের আমরা ছাত্রভোট করানোর নির্দেশ দিচ্ছি । ভোটের দিন এবং নিয়ম ঠিক করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।" তবে, নির্দেশিকায় স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বা স্টুডেন্ট কাউন্সিল লেখা থাকায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে । তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কী চাইলেই স্টুডেন্ট ইউনিয়ন করতে পারে? এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন উঠছে নির্দেশিকাটি নিয়ে ।
চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রভোট করানোর অনুমতি দেওয়া নিয়ে স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (SFI) তরফ থেকে রাজ্য সভাপতি সৃজন ভট্টাচার্য একটি বিবৃতিতে বলেন, "আমাদের সংগঠনই প্রথম সংগঠন যারা কাউন্সিলের বিরোধিতা করে ইউনিয়ন চেয়েছিল । পরবর্তীতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও মঞ্চ এবং সাধারণ ছাত্রদের এক বিশাল অংশও কাউন্সিলের বিরোধিতা করে । সরকার এতদিন পর মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হচ্ছে, কাউন্সিলের পাশাপাশি ইউনিয়নকেও একটা অপশন হিসেবে দেখতে বাধ্য হচ্ছেন । এটা আমরা ছাত্র আন্দোলনের জয় হিসেবেই দেখছি । এবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রদের মতামত গ্রাহ্য করতে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে । দ্বিতীয়ত, এতে আসলে কিছুই হবে না, যদি অবিলম্বে রাজ্যের সর্বত্র অবাধ সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচন সংগঠিত না করা হয় । ছাত্ররা গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারলে তবেই আমাদের দাবি পূরণ হবে ।"