কলকাতা, 14 ডিসেম্বর: রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক । তারপরেই ভোটের দিন ঘোষণা হোক । না হলে রাজ্য কারচুপি করতে পারে ৷ এই আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেই মামলার শুনানি শেষে বুধবার রায়দান স্থগিত রাখল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ(High Court Adjourned Judgment in Suvendu Case Regarding Panchayat Elections)।
এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্রের কাছে জনগণনা রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যের অবস্থান কী তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি ।
উত্তরে আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র জানান, 2011 সালের জনগণনা তপশিলি জাতি এবং উপজাতি সংখ্যা কমিশনের কাছে আছে । কিন্তু অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জাতি ও উপজাতিদের জন্য দরজায় দরজায় গণনা প্রয়োজন । সরকারের 2টি বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে । পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী জনগণনার প্রয়োজন ।
প্রধান বিচারপতি ফের জানতে চান, কমিশন কি নিশ্চিত 2011 সালের জনগণনায় পিছিয়ে পড়া জাতি ও উপজাতিদের উল্লেখ ছিল না ?
আরও পড়ুন :পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত শুভেন্দু অধিকারীর মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল হাইকোর্ট
অন্যদিকে, মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারীর তরফে আইনজীবী এসএস পাটোয়ালিয়া বলেন,"29 সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তাতে বলা হয়েছে প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সার্ভে করা হবে । সেই সার্ভের মাধ্যমে কতজন ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস পরিবার রয়েছে সেই বিষয়টি নির্ধারিত হবে এবং ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে । তার উপর ভিত্তি করে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসের প্রার্থীর মনোনয়নের বিষয়টি নির্ধারিত করবে নির্বাচন কমিশন । রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের কোনও যৌক্তিকতা নেই । এতে দুর্নীতির সম্ভাবনা থাকবে ৷ আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও অনুরোধ করেছি এই পদ্ধতি যাতে না মানা হয় ।
কিন্তু এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন,"আমরা যদি সার্ভে না করি তাহলে পিছিয়ে পড়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানব কী করে ? কমিশন আইন অনুযায়ী কাজ করছে । জুলাই মাসে প্রথম বিজ্ঞপ্তি জারি হয় । সেই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ডিসেম্বরে মামলা । খুব আশ্চর্যের বিষয় । বিষয়টা খুব জটিল । আমি হলফনামা দিতে চাই ।"