অবৈধ দোকান উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা নিউটাউনে কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা নিউটাউন ঝিলপাড়ে। উচ্ছেদ করতে আসা হিডকো কর্মীদের বাধা ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দোকানদারদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে নিউটাউন থানার পুলিশ।
শনিবার নিউটাউন ঝিলপাড়ে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে আসেন হিডকোর কর্মীরা। উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, হিডকোর কর্মীরা যখন দোকান উচ্ছেদ করতে আসে, দোকানদার ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের বাধা দেন। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে এবং এরপরই হিডকোর কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি হিডকোর লোকেদের বিরুদ্ধেও দোকানদারদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
হিডকোর লোকেদের বিরুদ্ধে দোকান ভাঙচুর করার অভিযোগ এনে ক্ষিপ্ত দোকানদাররা নিজেদের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেন। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে নিউ টাউন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এনকেডিএ সিও প্রশান্ত কুমার বারুই জানান, দোকানগুলিতে 15 নভেম্বর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর মাইকিং করা হয়। ওখানে দুই থেকে চারজন লোক ছিল, তাদের নিজেদের স্বার্থে কিছু লোককে বিক্ষোভ দেখাতে উৎসাহ দিচ্ছিল । আমরা আজ আচমকা আসিনি। আমরা যেটা করেছি সরকারি নিয়ম সরকারি নির্দেশ এই গভর্নমেন্টের যেটা নির্দেশ আছে তাই মেনে চলেছি ৷ একটা হকারকেও আমরা পুনর্বাসন না-দিয়ে সরাব না ৷"
তিনি আরও বলেন, "দুই থেকে চার মাস দেরি হতে পারে এবং এটা ওরা সবাই জানে। ওখানে যে ঘটনাটি ঘটেছে তাতে দু'জন লোক নির্দেশ দিচ্ছিল। আর বিশেষ করে মহিলাদের এগিয়ে দিচ্ছিল। ওরা আমাদের লোকজনদেরকে মারধর করেছে। যারা সত্যি সত্যি দোকান করে খায় তাদের সবাইকে দোকান দিয়ে তবে আমরা এটা করছি। আমাদের লোকসংখ্যা ছিল একশোর উপরে ওরা ছিল চারটে-পাঁচটা ছেলে ৷ সুতরাং, আমরা মারধর করলে ওরা পালিয়ে যেতে পারত না, তাই আমরা ঠেকানোর চেষ্টা করেছি। ব্লক সুপারভাইজার তিনি এখন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।"
আরও পড়ুন:
- ফের রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! মানিকচকে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু
- আবর্জনা ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের ঝামেলা, কসবায় চলল গুলি; গ্রেফতার অভিযুক্ত
- সবুজ রক্ষায় এবার নতুন উদ্যোগ এনকেডিএ ও হিডকো কর্তৃপক্ষের