পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

HC on Teacher's Transfer: শিক্ষিকাকে বদলির নির্দেশের পরও কেন গাফিলতি, প্রধান শিক্ষিকাকে জরিমানা হাইকোর্টের - Justice Raja Sekhar Mantha

মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে এক শিক্ষিকাকে বদলি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ তার পরও প্রায় সাত মাস কেটে গেলেও এখনও সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি ৷ তাই কর্তব্যে গাফিলতির জন্য পূর্ব বর্ধমানের হাতকৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে জরিমানা আদালতের ৷

Calcutta High Court
Calcutta High Court

By

Published : Feb 24, 2023, 4:00 PM IST

আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য

কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: এক শিক্ষিকাকে বদলির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তার পরও এই নিয়ে গাফলতির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ৷ শুক্রবার সেই সংক্রান্ত একটি মামলায় পূর্ব বর্ধমানের হাতকৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিরূপমা হাজরাকে জরিমানা করল আদালত (Headmistress fined by Calcutta High Court) ৷

এদিন ওই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে (Justice Raja Sekhar Mantha) ৷ বিচারপতি ওই প্রধান শিক্ষিকাকে 10 হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ৷ তাঁর নির্দেশ, সাতদিনের মধ্যে ওই টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকা দিতে হবে ৷ না দিলে প্রধান শিক্ষিকার বেতন থেকে ওই টাকা কেটে নেওয়া হবে ৷ বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশও দিয়েছে আদালত ৷

পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আউশগ্রামের হাতকৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হামিদা খাতুন । প্রায় পাঁচ বছর শিক্ষিকা হিসাবে ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত তিনি । তাঁর বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনার মগরাহাটের গোকর্ণে । হামিদার আইনজীবী ফিরদৌস শামীমের দাবি, শারীরিক অসুস্থার জন্য মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে তিনি বদলির আবেদন জানান । হাইকোর্ট গত অগস্ট মাসে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বদলির আবেদনে সাড়া দিতে নির্দেশ দিয়েছিল । কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি ।

প্রসঙ্গত, 2022 সালের 1 অগস্ট বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশ দেন ওই শিক্ষিকার বদলির জন্য অবিলম্বে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে । অভিযোগ, প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি প্রস্তুত থাকলেও তাতে কর্ণপাত করেননি প্রধান শিক্ষিকা । বাধ্য হয়ে আদালত অবমাননার দাবি জানিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হামিদা ৷ এদিকে শুক্রবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের পক্ষ থেকে আদালতে জানান, সোমবার জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে । নিয়ম অনুযায়ী, কোনও শিক্ষিকা স্বাস্থ্যের কারণে স্থানান্তরের আবেদন জানালে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক একটি টিম গঠন করে সেই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করেন । সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে স্থানান্তরের নির্দেশিকা জারি করেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ।

এর আগের শুনানিতে ওই প্রধান শিক্ষিকা নিরূপমা হাজরাকে সশরীরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত ৷ সেই মতো শুক্রবার তিনি আদালতে হাজির ছিলেন ৷ তাঁর কাছেও আদালত দেরির কারণ জানতে চান ৷ কিন্তু তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ৷

ক্ষুব্ধ বিচারপতি তখন প্রশ্ন তোলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও অগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারি, এত দেরি কেন ?" জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে সম্প্রতি তাঁরা নথি পেয়েছেন । এর পর প্রধান শিক্ষিকা অকারণ দেরি করায়, এদিন বিচারপতি মান্থা প্রধান শিক্ষিকাকে 10 হাজার টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছেন । বিচারপতির নির্দেশ, সাতদিনের মধ্যে প্রধান শিক্ষিকা ওই অর্থ দেবেন হামিদা খাতুনকে । জরিমানার অর্থ না দিলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই অর্থ বেতন থেকে কেটে হামিদকে প্রদান করবে ।

আরও পড়ুন:উলুবেড়িয়ার অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে রাজ্য ভিজিলেন্স কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ABOUT THE AUTHOR

...view details