কলকাতা, 4 মার্চ : ট্যাবের জন্য পড়ুয়াদের দেওয়া টাকা সঠিকভাবে ব্যবহারের প্রমাণপত্র তথা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট চেয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর । ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে দফতরের পাঠানো নির্দেশিকা মেনে রাজ্যের জেলা পরিদর্শকদের তরফে স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের থেকে বিল সংগ্রহ করে দফতরের দেওয়া নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে । নির্দেশ আসতেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে প্রধান শিক্ষক মহলে । কেন স্কুলের তহবিলে টাকা না এলেও তাদের অর্থ ব্যবহারের প্রমাণপত্র দিতে হবে ? প্রশ্ন তুলে আজ স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে চিঠি দিল প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠন ।
রাজ্যের স্কুল ও মাদ্রাসার দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনা বাবদ 10 হাজার টাকা করে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়েছে রাজ্য সরকার । সেই টাকার ব্যবহার সঠিকভাবে হয়েছে কি না তার প্রমাণপত্র চেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে মাধ্যমিক স্তরের জেলা পরিদর্শকদের নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের স্টেট প্রোজেক্ট ডিরেক্টর । সেখানে বলা হয়েছে, প্রতিটি স্কুলের প্রধানকে প্রত্যেক পড়ুয়ার থেকে ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার রসিদ সংগ্রহ করে পাঠাতে হবে জেলা পরিদর্শকদের কাছে । যাতে জেলা পরিদর্শকরা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট আগামী 10 মার্চের মধ্যে স্কুল শিক্ষা দফতরে পাঠাতে পারেন । তারপরেই জেলা পরিদর্শকদের তরফে স্কুলের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দফতরের দেওয়া ফরম্যাটে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে । প্রতিটি জেলা থেকে এই সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমা । কোনও জেলায় 5 মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও 8 মার্চ পর্যন্ত । বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক পড়ুয়ার কাছ থেকে আসল রসিদ জমা নিতে হবে । রসিদ সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার নামে হতে হবে । রসিদ স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার জন্যই হতে হবে । রসিদে অর্থের পরিমাণ 10 হাজারের কম হওয়া চলবে না । সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে রসিদে সাক্ষর করতে হবে । আর এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা ।