কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি:চৈতালি তিওয়ারি ও জিতেন্দ্র তিওয়ারির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ খারিজ করলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ আসানসোলে কম্বল বিতরণ ও তারপরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পরেই আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেত্রী চৈতালি তিওয়ারি ও তাঁর স্বামী জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷
পুলিশ জানিয়েছে, 3 ডিসেম্বর চৈতালি তিওয়ারি তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন করেন ৷ সেটি হওয়ার কথা 14 ডিসেম্বর ৷ কিন্তু প্রশাসন তাঁকে অনুমতি দেয়নি ৷ এদিকে ওই অনুষ্ঠান থেকে 3 হাজার কম্বল বিতরণ করা হবে বলে ঘোষণা করা হয় ৷ অথচ সেই কারণে বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে 6 হাজার কুপন বিলি করা হয় ৷ এই অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে 3 জনের মৃত্যু হয় ৷ অনুমতি না-থাকা সত্ত্বেও অনুষ্ঠান করা হয়েছে ৷ এই অভিযোগ জানিয়ে 15 ডিসেম্বর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয় ৷ তদন্তে দেখা যায়, চরম অব্যবস্থার জন্য তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:শুভেন্দুর কম্বল-প্রদান অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত এক শিশু-সহ 3
এই ঘটনার তদন্তে নেমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ চৈতালি তিওয়ারি, জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ ৷ শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান ৷ কারণ তিনি ওই দিন খুব অল্প সময়ের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৷ কম্বল বিতরণের আগেই তিনি অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান ৷ তারপরেই হুড়োহুড়ি হয় এবং পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ চৈতালি তিওয়ারি ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানালে আদালত তাঁদের তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয় ৷ কিন্তু তাঁরা পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ ৷ সর্বোপরি যে জমিতে এই অনুষ্ঠান করা হয়, সেই জমি মালিকের থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে ৷ সবমিলিয়ে তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট ৷
প্রসঙ্গত, 14 ডিসেম্বর, আসানসোল পৌরনিগমের 27 নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ ডাঙাল অঞ্চলে কম্বল প্রদান অনুষ্ঠান হয় ৷ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ৷ কম্বল বিতরণকে ঘিরে উপস্থিত জনতাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ৷ তাতে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান 3 জন ৷ মৃতদের মধ্যে ছিল 13 বছরের এক নাবালিকা ৷
আরও পড়ুন:'রক্ষাকবচ' চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সস্ত্রীক জিতেন্দ্র তিওয়ারি