কলকাতা, 7 এপ্রিল: বিধাননগর পৌরনিগমে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে একের পর এক নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট । শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী 15 মে-র মধ্যে বিধাননগর পৌরকমিশনারকে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জানিয়ে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন । পৌরনিগম এলাকায় কোনও বেআইনি নির্মাণ হয়েছে কিনা বা নতুন করে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি স্বতন্ত্র টিম গঠন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে 2020 সালে প্রথমে সুমন দাস ও পরে সব্যসাচী দত্ত বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন । হাইকোর্ট পৌরনিগমকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল । কিন্তু তারপরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে জানা গিয়েছে ।
পৌরনিগমের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, বেআইনি দখল ও নির্মাণের বিষয়টি তারা স্বীকার করেছে । তাদের দেওয়া হলফনামা থেকে দেখা গিয়েছে 39টি প্লটে 333টি বাড়ি বানানো হয়েছে । যার মধ্যে একতলা থেকে পাঁচতলা সব ধরনের নির্মাণই রয়েছে । যাদের বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল না তাদের পৌরনিগমের তরফ থেকে কাজ বন্ধ রাখার নোটিশ ধরানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: পড়ুয়াহীন পৌরস্কুলের ঝাঁপ বন্ধ করছে কলকাতা পৌরনিগম
পৌরনিগমের তরফ থেকে এহেন স্বীকারোক্তিতে বিস্মিত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ৷ পৌরনিগম এই ব্যাপারে কেন এতদিন পদক্ষেপ করেনি সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ । যদিও পৌরনিগমের তরফের আইনজীবীর যুক্তি, বিধাননগর পৌরনিগম নতুন তৈরি হয়েছে । সেখানে রাজারহাট গোপাল পৌরসভার মধ্যে কিছু এলাকা চলে গিয়েছে । পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে বিষয়টি কেন বিচারাধীন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । অবশেষে 30 দিনের মধ্যে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে পৌরকমিশনারকে 15 মে-র মধ্যে কী পদক্ষেপ করেছেন তা জানিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ।