কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর:2016-র জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত গোটা হাওড়া জেলা জুড়ে কতজনকে গাঁজা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের থেকে কত গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে, আর কত গাঁজা থানার মালখানায় মজুত রয়েছে এইসবের যাবতীয় তথ্য রাজ্যের থেকে তলব করল হাইকোর্ট(High Court ordered the states report to know the arrests in fake ganja case)।
এক ব্যক্তিকে 17টি মিথ্যে গাঁজা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে ওঠে(HC on Fake Ganja Case)। পাশাপাশি রাজ্যের বহু লোককে ভুয়ো গাঁজা মামলায় গ্রেফতার করার অভিযোগে সৌরভ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা করেন হাইকোর্টে । সোমবার সেই মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে এই নির্দেশ দেয় । 28 নভেম্বরের মধ্যে মুখ বন্ধ খামে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে ।
সৌরভ মণ্ডলের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল গাঁজা নিয়ে তথ্য জানতে চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করছিলেন । তাই তাঁকে মিথ্যে মামলায় একের পর এক ফাঁসানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন :18 হাজার কেজি গাঁজা ধ্বংস করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ
তবে এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সুবীর সান্যাল বলেন, "যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের নাম এবং তাদের থেকে কত গাঁজা উদ্ধার হচ্ছে সমস্ত কিছু সিজার লিস্টে পরিষ্কার লিখতে হবে । এরপর সেটা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাচাই করতে হবে ।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পুলিশ মোট সংখ্যাটা লিখে রাখে । ধরা যাক 57 জন গ্রেফতার হয়েছে ৷ এবার তাদের থেকে মোট কতটা গাঁজা উদ্ধার হয়েছে সেটা লিখে রাখা হয় ।"
এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের প্রশ্ন, কেন আপনারা আলাদা আলাদা করে লিখে রাখেন না ?
অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় এর উত্তরে জানান, তদন্তের কারণে গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয় । তখনই সুবীর সান্যাল বলেন, "এখানেই কারচুপির সুযোগ রেখে দেওয়া হয় ।"