কলকাতা, 27 এপ্রিল: কিশোরী ধর্ষণ ও তারপর তাকে খুনের অভিযোগে রিপোর্ট তলব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দেন ৷ তিনি আরও নির্দেশ দেন, মামলার তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে ৷ ভিডিয়োগ্রাফি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে ৷ প্রয়োজনে আদালত পরে সেসব দেখবে ৷ পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের আবেদন এখনই বিবেচনা করা হচ্ছে না ৷ রাজ্য পুলিশ জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনকে মামলার কপি দেবে ৷ 2 মে মামলার পরবর্তী শুনানি ৷
মৃত কিশোরীর পরিবারের আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ময়নাতদন্ত না-হওয়া, ভিডিয়োগ্রাফি না-হওয়া এবং প্রথমে এফআইআর না-নেওয়ার মতো অনেক অভিযোগ রয়েছে ৷ পুলিশ পরিবারের কাছ থেকে দেহ টেনে নিয়ে যায় ৷ আমাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে ৷" রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী সম্রাট সেন জানান, 20 এপ্রিল বিকেলে ঘটনাটি ঘটে ৷ মেয়েটির বয়স 18 বছরের নীচে এবং ছেলেটির বয়স 18 বছরের উপরে ৷ তারা নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ পুলিশ দুই পরিবারকে অভিযোগ দায়ের করতে বলে ৷ তারা তা করতে চায়নি ৷ তাও পুলিশ তল্লাশি শুরু করে ৷ 20 তারিখ কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ পরের দিন 21 এপ্রিল সকালে একটি পুকুরের সামনে থেকে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ তার পাশ থেকে একটা বোতলও পাওয়া যায় ৷
আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে