আদালতের নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও অধিকার নেই কলকাতা, 14 মার্চ: রাজ্যে 24টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের মামলায় বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার ৷ অবৈধ উপায়ে উপাচার্য নিয়োগ বিষয়ে মামলাকারীর আবেদন গৃহীত হয়েছে কলকাত হাইকোর্টে ৷ মঙ্গলবার সব উপাচার্য নিয়োগ অবৈধ বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ (Appointment of Vice-Chancellors illegal) ৷
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, নবান্নের নির্দেশে যে সব উপাচার্যকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে ৷ যাদের কার্যকাল শেষ হওয়ার পরেও রাজ্য সরকার পুনর্নিয়োগ করেছিল, তাঁদের নিয়োগও বাতিল হল আজ ৷ কিন্তু যে সব উপাচার্যের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করল না আদালত ৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও এক্তিয়ার নেই ৷
উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগ অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এরপরই আইনজীবী সুস্মিত সাহা দত্ত রাজ্যের 24টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ অবৈধ দাবি করে মামলা দায়ের করেন ৷ তিনি আজ সাংবাদিকদের বলেন, "বর্তমানে দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা আচার্য থাকাকালীন বলেছিলেন, তাঁর স্বাক্ষর ছাড়াই রাজ্যে 24টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে ৷ মামলা চলাকালীন রাজ্য সরকার বলার চেষ্টা করেছিল, এগুলি নিয়োগ নয়, পুনর্নিয়োগ ৷ আদালত আমাদের কথা শুনেছে ৷ এখানে তুঘলকী কারবার চলছে ৷ 2018 সালে ইউজিসির নিয়মে পরিষ্কার বলা আছে, সার্চ কমিটি উপাচার্যদের নির্বাচন করে ৷ সেখানে সার্চ কমিটির একজন মনোনীত সদস্যকে থাকতে হবে ৷ সেই বিষয়বস্তুটা রাজ্য সরকার উড়িয়ে দিয়েছে ৷"
কেয়ারটেকার ভিসি তিন মাসের জন্য সময় দেওয়ার কথা বলেছেন, জানালেন আইনজীবী ৷ মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী সুস্মিতা আরও বলেন, "রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় হয়তো এ বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন ৷"
আরও পড়ুন: সোনালী চক্রবর্তীকে উপাচার্য পদ থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের