কলকাতা, 10 এপ্রিল:মাথার উপর সূর্যের গনগনে আঁচ আর পায়ের নীচে তপ্ত মাটি জানান দিচ্ছে চৈত্র শেষ লগ্নে এসে গিয়েছে ৷ কয়েকদিন পরেই পয়লা বৈশাখ ৷ আর বৈশাখের আগমনের বার্তা আসে 'হালখাতা' দিয়ে ৷ পয়লা বৈশাখ ও অক্ষয় তৃতীয়া অস্পূর্ণ থেকে যায় হালখাতা ছাড়া ৷ 'হালখাতা' শব্দটা বাংলার নববর্ষের সঙ্গে খুবই ঐকান্তিকভাবে জড়িত । নতুন বছরের পয়লা বৈশাখ বা অক্ষয় তৃতীয়ায় ব্যবসায়ীরা পুরনো হিসেব নিকেশ শেষ করে নতুন হিসেব শুরু করেন । আর সেই হিসেব লেখা হয় এই হাল খাতায় । তাই চৈত্রের শেষ আসতে না-আসতেই দোকানে দোকানে চাহিদা বাড়ে হাল খাতার । কিন্তু এই চৈত্রে সেই চেনা ছবি উধাও । নেই ক্রেতাদের লম্বা লাইন ৷ শেষ বেলায় এসেও জাবদা খাতার দোকানগুলো মাছি তাড়াচ্ছে ।
বলা যায় হাল খাতার হাল 'বেহাল' । তাই ব্যবসাও 100 শতাংশ থেকে 2 শতাংশে নেমে এসেছে । এই সময় দোকানের সামনে লাল চাদর পেতে ভর্তি ভর্তি খাতা রাখা থাকত । খুচরো বিক্রেতা নিয়ে যেত। আবার পাইকারী দরে বিভিন্ন জোলাতেও ব্যবসা করতেন ব্যবসায়ীরা ৷ এই বছর যেন ছন্দ পতন ঘটেছে ৷ বৈশাখ শুরুর 5 দিন আগেও এক প্রকার মাছি তাড়াচ্ছন দোকানিরা ৷ এতদিন পুরনো যাদের অর্ডার দিয়েছেন তাদের ফোন করে আবার অর্ডার তোলার চেষ্টা করছেন ব্যবাসায়ীরা । তাতেও খুব একটা সাড়া পাচ্ছেন না-বলেই জানালেন আফরোজ আলম খান ৷ একরাশ হতাশা আর আক্ষেপের সুর ৷ তিনি বলেন, "ক্রেতারা বলছে ব্যবসা নেই খাতা নিয়ে কি করব । 10-20 টাকার এমনই খাতা নিয়ে পুজো করব ৷"