কলকাতা, 25 মে : রাজ্যে এখনও দগদগে আমফানের স্মৃতি ৷ সেই পরিস্থিতি আর যাতে না তৈরি হয়, তাই প্রথম থেকেই যশ নিয়ে অতি সক্রিয় লালবাজার। পাশাপাশি কলকাতা পৌরনিগমের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ৷ অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের তরফে একাধিক নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে ।
আমফানের পর শহরের বড় বাড়ির যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনই গাছের ডাল ভেঙে বা একাধিক বাস ও প্রাইভেট গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ পাশাপাশি বৈদ্যুতিন তার ছিঁড়ে একাধিক জায়গায় বিদ্যুত বিপর্যয়ও হয়েছে ৷ সব মিলিয়ে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছিল ৷ যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি ৷ এবার সেই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফে শহরের একাধিক বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে ৷ কোনও বিপজ্জনক বাড়ি অথবা বড় গাছের নিচে গাড়ি রাখা যাবে না , এই মর্মে গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পৌরনিগম আধিকারিকরা রাস্তার একাধিক জায়গায় পড়ে থাকা বৈদ্যুতিন তার গুছিয়ে একধারে রাখা হয়েছে ৷
কলকাতা পুলিশের তরফে যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে , সেগুলি হল ...
1. সিইএসসি এবং পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুত সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে কলকাতা পুলিশ নিরন্তর যোগাযোগ রাখবে এবং বিপর্যয়ের দিন যাতে তাদের প্রত্যেক কর্মীকে কর্তব্যরত অবস্থায় থাকতে হবে ।
2. প্রত্যেকটি থানায় গামবুট , করাত , হেলমেট , জ্যাকেট , ছাতা পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখতে হবে ।
3. যে সব থানার অধীনে কোভিড হাসপাতাল এবং সেবাকেন্দ্র রয়েছে , সেইসব জায়গায় যাতে অক্সিজেন সরবরাহে বিঘ্ন না ঘটে কিংবা সেখানে যাতে লোডশেডিং না হয় তার খেয়াল রাখতে হবে অফিসার ইনচার্জ সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিভিশনাল ডিসিদের ।
4. পৌরনিগমের কর্মীদের সঙ্গে 24 ঘণ্টা সমন্বয় সাধন করতে হবে কলকাতা পুলিশকে ।
5. ম্যানহোল এবং ঝড়ের আগেই পরিষ্কার করে রাখতে হবে ৷ তার জন্য পৌরসভার কর্মীদের তৎপর থাকতে হবে ।
6. কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে অতি সক্রিয় থাকতে হবে ৷ যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তাঁরা যাতে দ্রুত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেন ৷
7. যেসমস্ত থানার অধীনে পুরানো বাড়ি রয়েছে সেই সমস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের সাবধান করতে হবে কিংবা তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
8. বিদ্যুতের তার রাস্তায় পড়ে কোনও ব্যক্তি বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে মারা না যান, তার খেয়াল রাখতে হবে পুলিশকে ৷
আরও পড়ুন :আসছে যশ, প্রশাসনের সাহায্য় না পেয়ে বাঁধ নির্মাণে গ্রামবাসীরাই