কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: সাসপেন্ড যাদবপুরের ভিসি বুদ্ধদেব সাউ! শনিবার রাজভবন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। মূলত রাজ্যপালের নির্দেশমতো বা অনুমতি ছাড়া কাজ না-করার ক্ষুব্ধ আচার্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে । এ বিষয়ে বুদ্ধদেব সাউ বলেন, "এখনও পর্যন্ত কোনও অফিশিয়ালি চিঠি আমি পাইনি। তবে আপনাদের মুখ থেকে প্রথম শুনলাম।"
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামিকাল, রবিবার সমাবর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের সাসপেন্ড ঘিরে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার, মামিডালা উচ্চশিক্ষা দফতরের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এমনকী আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজেই। তবে এই সাসপেনশনের খবর প্রকাশ হওয়ার আগেই বুদ্ধদেব সাউ ইটিভি ভারতকে বলেছিলেন," আগামিকাল সমাবর্তন অনুষ্ঠান হচ্ছে। সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আসবেন কি না, সে বিষয়ে জানা নেই।"
আইনি জটিলতার কারণে এবারের সমাবর্তনকে 'সমাবর্তন' না-বলে 'ডিগ্রি অ্যায়ার্ডিং সেরিমনি' বলে চালানোর চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু 24 তারিখের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা এখনও পর্যন্ত সংশয়ের মধ্যে আছে। কারণ, রাজভবন সূত্রের দাবি, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে সাসপেন্ড করেছেন। এর আগে রাজভবন থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, আচার্যের অনুমতি ছাড়া কীভাবে অন্তর্বর্তী উপাচার্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসমিতির বৈঠকে সমাবর্তনের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা করলেন ?