DA Issue: ডিএ নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবেন, সরকারি কর্মচারীদের আশ্বাস রাজ্যপালের

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয় (DA Protesters Meet Governor) ৷ সেখানে ডিএ নিয়ে তাঁরা তাঁদের দাবি জানান ৷

কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ (DA) সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose) ৷ এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্দোলনকারীরা ৷ সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তাঁরা এই কথা জানিয়েছেন ৷

এদিন বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথমঞ্চের চার সদস্য রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ৷ ওই চারজন হলেন, তাপস চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য, দীপল বিশ্বাস ও সন্দীপ ঘোষ৷ তাঁদের পাশে থাকতে চেয়ে ওই প্রতিনিধি দলে সামিল হয়েছিলেন রানাঘাটের সাংসদ বিজেপির জগন্নাথ সরকার (BJP MP Jagannath Sarkar) ৷ সরকারি কর্মীরা তাঁদের দাবিপত্র-সহ একটি চিঠি দেন রাজ্যপালকে । সরকারি কর্মীরা জানান, রাজ্যপাল এই বিষয়টি দেখবেন বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন । এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠাবেন বলেও তাঁদের জানিয়েছেন ।

অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা পুরো বিষয়টা রাজ্যপালের সামনে তুলে ধরেছি । ওঁর এটা অমানবিক বলে মনে হয়েছে । চলতি মাসের 14 তারিখ আমরা রাজ্যপালকে এই বিষয় তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলাম । এই রাজ্যে সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা করা হচ্ছে । অন্যদিকে দিল্লির বঙ্গভবনে সরকারি কর্মীরা কেন্দ্র সরকারের হারে ডিএ পাচ্ছে এবং সেটা স্থায়ী অর্ডার ৷ বাকি সবধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা ।’’

কিন্তু তাঁদের প্রতিনিধি দলে জগন্নাথ সরকার কেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে অনিরুদ্ধ বলেন, "জগন্নাথ সরকার একজন প্রাক্তন শিক্ষক হিসেবে আজ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং রাজ্যপালের সঙ্গে আমাদের সঙ্গেই দেখা করতে এসেছেন । উনিও ওঁর মহার্ঘ ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন । আজ এখানে উনি এখন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে আসেননি । জগন্নাথবাবু রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিলেন । আর সেটা উনি পেয়েই আজ দেখা করতে এসেছেন । উনি আজ যদি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে আসতেন এখানে, তাহলে যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা অবশ্যই ওঁর সঙ্গে আসতেন না ।"

অন্যদিকে জগন্নাথ সরকার বলেন, "এটা আমাদের ন্যায্য পাওনা ৷ তাই আমরা এই ডিএ-র হারে খুশি নই । যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ কেউ খুশি হতে পারে না । এটা একটা ধোঁকা । ভারতে ডিএ-র বিষয় সমস্ত রাজ্যের মধ্যে আমরাই নিম্ন ।"

প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে আন্দোলন অনেক ধরেই চলছে ৷ বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারাধীন ৷ তার মধ্যে বুধবার রাজ্য বাজেট পেশের পর অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য 3 শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন ৷ কিন্তু সরকারের সেই ঘোষণায় খুশি নয় যৌথমঞ্চ ৷ ইতিমধ্যে তারা নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ৷ আগামী 20 ও 21 ফেব্রুয়ারি 48 ঘণ্টার কর্মবিরতিরও ঘোষণা করেছে ৷