সার্চ কমিটির জন্য তৈরি রাজ্যপালের প্রস্তাবিত সদস্য তালিকা কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর:সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তৈরি হয়ে গিয়েছে সার্চ কমিটির জন্য রাজ্যপালের সদস্যদের তালিকা । সময় অনুযায়ী প্রস্তাবিত সেই তালিকা পাঠিয়ে দেবেন তিনি । শুক্রবার স্পষ্ট এ কথা জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । তবে সেই তালিকায় কাদের নাম রয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য । এরই সঙ্গে তিনি অবশেষে মুখ খুললেন নবান্নে পাঠানো চিঠি নিয়ে ৷ বললেন, "চিঠি দুটো মিস্ট্রি নয়, হিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে ৷"
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝে গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সার্চ কমিটি নিয়ে একটি নির্দেশ দেয় । সেখানে শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকার, আচার্য এবং ইউজিসি - এই তিন পক্ষকেই সার্চ কমিটি তৈরির জন্য তাঁদের প্রস্তাবিত নামের তালিকা পাঠাতে বলে । 25 সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই নামের প্রস্তাব পাঠাতে হবে । যা বিচার করে 3 থেকে 5 সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে সুপ্রিম কোর্ট । 27 সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে শীর্ষ আদালত । সেই সার্চ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্থায়ী উপাচার্য নির্ধারণ করবে ।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । আইন মেনে তাঁরা নাম প্রস্তাব করবেন বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী । তার ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজের তালিকা প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল । শুক্রবার তিনি বলেন,
"আমি খুঁজে পেয়েছি সার্চ কমিটির মেম্বারদের । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তালিকা তৈরি ।" প্রস্তাবিত ব্যক্তিরা কোন রাজ্যের তা জিজ্ঞেস করতেই রাজ্যপালের উত্তর, "এঁরা এই রাজ্যের না অন্য রাজ্যের সেটা আপনি ওঁদের জিজ্ঞেস করুন ।"
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মাঝরাতে গোপন দুটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন ৷ তার একটি গিয়েছিল নবান্নে এবং অন্যটি দিল্লিতে । সেই চিঠিতে কী রয়েছে তা নিয়ে আজও ধোঁয়াশা রয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন যে, রাজ্যপাল তাঁকে বিদেশযাত্রার শুভেচ্ছা জানাতেই চিঠি পাঠিয়েছিলেন ৷ সেই চিঠি ব্যক্তিগত তাই এর বেশি কিছু বলবেন না বলে জানান মমতা ৷ তবে এ নিয়ে রহস্য বজায় রেখেছিলেন রাজ্যপাল ৷ অবশেষে আজ সেই চিঠি নিয়ে তিনি মুখ খুললেন ।
আরও পড়ুন:ক্ষমা চান রাজ্যপাল, মানহানির মামলার হুঁশিয়ারি প্রাক্তন উপাচার্যদের
রাজ্যপাল বলেন, "দুটি চিঠির উত্তর পাওয়া নিয়ে পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, তা দুই সাংবিধানিক সহকর্মীর মধ্যে থাকাই বাঞ্ছনীয় । তবে ওই চিঠি দুটো আর মিস্ট্রি নয় হিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে ।" বারবার রাজভবনের উপর যে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনা হচ্ছে তা নিয়ে এ দিন সরব হয়েছেন রাজ্যপাল । তিনি জানান, রাজভবন রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকা উচিত, এটি একটি অরাজনৈতিক পরিসরে হওয়া উচিত ।"