কলকাতা, 6 নভেম্বর : কোথাও ভেঙে পড়েছে বাড়ির ছাদ আবার কোথাও ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটে উড়ে গিয়েছে জানালা ৷ কোথাও খেলার মাঠে গজিয়েছে হাঁটু সমান আগাছা । ক্লাসঘরের অবস্থাও কোথাও কোথাও তথৈবচ ৷ কোথায় বসবে ছাত্রছাত্রীরা ? এখন এই চিন্তাই মাথায় ঘুরছে বেশিরভাগ স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ।
হাতে গোনা মাত্র আর ক'দিন, তারপরেই প্রায় 19 মাস পর আবার খুলছে রাজ্যের স্কুলগুলি । তবে এখনও সঙ্গিন অবস্থায় পড়ে রয়েছে বহু স্কুলভবন । করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলি ৷ তার মধ্যেই গতবছর আমফান ও এবছর যশের আঁচড় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পড়েছে ৷ কোনও স্কুল ভবনের ছাদ উড়ে গিয়েছে, কোথাও মিড ডে মিলের রান্নাঘরের ছাউনি ভেঙে গিয়েছে । বেহাল অবস্থা রাজ্যের বহু স্কুলভবনের । এই স্কুলভাবনগুলিকে আবার মেরামত করে সেগুলিকে পঠনপাঠনের যোগ্য করে তুলতে রাজ্য সরকারের তরফে যে 109 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই টাকা পাওয়া এবং ভবনগুলি মেরামত নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর জটিলতা ।
অন্যদিকে, আগামী 12 নভেম্বর রাজ্যের একাধিক স্কুলে হবে ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভে (ন্যাস) পরীক্ষা । ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে এসে দিতে হবে সেই পরীক্ষা । পরীক্ষার্থীদের বসতে দেওয়ার মতো জায়গা হবে কিনা সেই বিষয় যথেষ্ট চিন্তিত শিক্ষকরা-শিক্ষিকারা । শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী এবিষয়ে বলেন, "পঠনপাঠনের জন্য বিদ্যালয় খুলতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি রয়েছে । তার আগে যদি মেরামতের টাকা না পাওয়া যায় বা নিশ্চিত কোনও খবর না থাকে তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভেঙে পড়া স্কুলের পরিকাঠামো গড়ে তোলা মুশকিল হয়ে পড়বে । তাছাড়া বহু ক্ষেত্রে কম্পোজিট গ্র্যান্ট এখনও বাকি রয়েছে । কোথাও তা অর্ধেক পরিমাণে দেওয়া হয়েছে । এব্যাপারে রাজ্য সরকার তথা শিক্ষা দফতরের তৎপরতা প্রয়োজন । দ্রুত এই গ্র্যান্ট বিদ্যালয়গুলিকে দেওয়া হোক ।"