পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

School Reopening : ক্লাস শুরু হতে আর ক'টা দিন, বহু স্কুলভবনে এখনও চরম দুরবস্থা - রাজ্যের স্কুল

দীর্ঘদিন পর খুলতে চলেছে রাজ্যের স্কুলগুলি ৷ কিন্তু এখনও বহু স্কুল মেরামতি বাকি ৷ এই অবস্থায় কীভাবে নির্দিষ্ট দিনে ক্লাস শুরু করা যাবে তা নিয়ে চিন্তায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৷

Situation of Schools
ক্লাস শুরু হতে আর ক'টা দিন, অথচ বহু স্কুলভবনে এখনও ভগ্ন দশা

By

Published : Nov 6, 2021, 7:36 AM IST

Updated : Nov 6, 2021, 8:29 AM IST

কলকাতা, 6 নভেম্বর : কোথাও ভেঙে পড়েছে বাড়ির ছাদ আবার কোথাও ঘূর্ণিঝড় যশের দাপটে উড়ে গিয়েছে জানালা ৷ কোথাও খেলার মাঠে গজিয়েছে হাঁটু সমান আগাছা । ক্লাসঘরের অবস্থাও কোথাও কোথাও তথৈবচ ৷ কোথায় বসবে ছাত্রছাত্রীরা ? এখন এই চিন্তাই মাথায় ঘুরছে বেশিরভাগ স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ।

হাতে গোনা মাত্র আর ক'দিন, তারপরেই প্রায় 19 মাস পর আবার খুলছে রাজ্যের স্কুলগুলি । তবে এখনও সঙ্গিন অবস্থায় পড়ে রয়েছে বহু স্কুলভবন । করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলি ৷ তার মধ্যেই গতবছর আমফান ও এবছর যশের আঁচড় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পড়েছে ৷ কোনও স্কুল ভবনের ছাদ উড়ে গিয়েছে, কোথাও মিড ডে মিলের রান্নাঘরের ছাউনি ভেঙে গিয়েছে । বেহাল অবস্থা রাজ্যের বহু স্কুলভবনের । এই স্কুলভাবনগুলিকে আবার মেরামত করে সেগুলিকে পঠনপাঠনের যোগ্য করে তুলতে রাজ্য সরকারের তরফে যে 109 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই টাকা পাওয়া এবং ভবনগুলি মেরামত নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর জটিলতা ।

অন্যদিকে, আগামী 12 নভেম্বর রাজ্যের একাধিক স্কুলে হবে ন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভে (ন্যাস) পরীক্ষা । ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে এসে দিতে হবে সেই পরীক্ষা । পরীক্ষার্থীদের বসতে দেওয়ার মতো জায়গা হবে কিনা সেই বিষয় যথেষ্ট চিন্তিত শিক্ষকরা-শিক্ষিকারা । শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী এবিষয়ে বলেন, "পঠনপাঠনের জন্য বিদ্যালয় খুলতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি রয়েছে । তার আগে যদি মেরামতের টাকা না পাওয়া যায় বা নিশ্চিত কোনও খবর না থাকে তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভেঙে পড়া স্কুলের পরিকাঠামো গড়ে তোলা মুশকিল হয়ে পড়বে । তাছাড়া বহু ক্ষেত্রে কম্পোজিট গ্র্যান্ট এখনও বাকি রয়েছে । কোথাও তা অর্ধেক পরিমাণে দেওয়া হয়েছে । এব্যাপারে রাজ্য সরকার তথা শিক্ষা দফতরের তৎপরতা প্রয়োজন । দ্রুত এই গ্র্যান্ট বিদ্যালয়গুলিকে দেওয়া হোক ।"

আরও পড়ুন : Murder : ঠাকুরপুকুর থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ, আটক স্বামী

তিনি আরও বলেন, "কমবেশি প্রতিটি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ক্ষতিপূরণের অর্থ যেন প্রতিটি বিদ্যালয় পায় সেদিকে নজর দিতে হবে । রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে জানা যাচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানেই রিপেয়ারিং গ্র্যান্টের টাকায় স্কুলের সংস্কারের কাজ হতে পারে । ব্লক মারফত টেন্ডার হয়ে কাজ শুরু হলে অনেক সময় লেগে যাবে । অর্থ সরাসরি স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে দিলে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা যাবে ।" একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পঞ্চানন ময়রা বলেন, "যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আর তা মেরামত করতে যা টাকা লাগবে সেই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি । খুব সামান্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । এই অর্থে সম্পূর্ণ কাজ করা সম্ভব নয় । তবে সেই টাকা সরাসরি স্কুলের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়নি । বরং এসেছে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসে । বিডিও অফিসের সেই টাকা পাঠানো হয়েছে । বিডিও থেকে টেন্ডার করে কন্ট্রাক্টর দিয়ে কাজ করানো হবে । কবে টেন্ডার দেওয়া হবে ? কবে সেই কাজ শুরু হবে, কবেই সেই কাজ শেষ হবে ? তা জানা নেই । অথচ হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন । তাই এখনই যদি কাজ শুরু না করা যায় তাহলে কাজ শেষ হতে অনেকটা সময় লেগে যাবে ।"

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক প্রধান শিক্ষক বলেন, "আমি আমার নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে এর আগে অনেকবার স্কুলের কাজ করিয়েছি ৷ বারবার বিডিও অফিসে গিয়ে তদবির করা সত্ত্বেও যেই টাকা আমার স্কুলের মেরামতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল সেই টাকা এসে স্কুলের স্কুলের অ্যাকাউন্টে পৌঁছয়নি ৷ এবারও ঠিক একই ঘটনা ৷ স্কুলের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই টাকা বিডিও অফিসে এসে পৌঁছানোর পরেও এখনও কোন কাজ শুরু হয়নি ।"

Last Updated : Nov 6, 2021, 8:29 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details