কলকাতা, 29 ডিসেম্বর:অন্যান্য সনাতন সংগঠনের সঙ্গে ঘরে ঘরে গিয়ে রাম মন্দির দর্শনের আমন্ত্রণ কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি ৷ আগামী বছর 22 জানুয়ারি অযোধ্যায় রামলালা মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । শুক্রবার অযোধ্যায় গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ৷ আগামিকাল, শনিবার অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর রোড শো কর্মসূচি আছে । আর ইতিমধ্যে বঙ্গ বিজেপিও নেমে পড়েছে রাজ্যে সেই প্রচারে । এই নিয়ে 'ঘর ঘর যাত্রা' প্রচারে নামতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি । আগামী 1 জানুয়ারি থেকে 15 জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই 'ঘর ঘর যাত্রা' কর্মসূচি ।
সম্প্রতি আইসিসিআর-এ যে সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছে, সেখানেই এই 'ঘর ঘর যাত্রা' কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপির তরফে । অর্থাৎ বিজেপি'র কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দির দর্শন করতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হবে । শহর থেকে জেলা সর্বত্রই চলবে এই কর্মসূচি । জেলাগুলিতেও কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি যাবে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব । সবক'টি জেলায় সভা করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে । শুধু বিজেপি কর্মী-সমর্থকই নন, রাজ্যবাসীকেও অযোধ্যায় যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে ।
তাই এবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পাশাপাশি রাম মন্দির দর্শন করতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে কর্মসূচির ঘোষণা করল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব । আরএসএস-এর পক্ষ থেকেও এই একই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে । জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই অযোধ্যা থেকে হলুদ ও ঘি মাখানো 'অক্ষত' চাল এসে পৌঁছেছে রাজ্যে । তবে ইতিমধ্যেই বিরোধী মহলে এই রাম মন্দির এবং রাম মন্দিরের মেগা উদ্বোধন কর্মসূচি নিয়ে নানা কথা চলছে । ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের মহাসমাবেশ মঞ্চ থেকে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সভানেত্রী মমতা বালা ঠাকুর জানান যে, ঠাকুরনগরের ঠাকুর বাড়ির জল ও মাটি অযোধ্যায় পাঠিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর । কিন্তু সেই জল ও মাটি ফেলে দেওয়া হয় । এই কারণে মতুয়ারা রাম মন্দির দর্শনে কোনওদিন যাবে না ।
বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, "ঈশ্বরের আশীর্বাদ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকরা । এটা পুরোপুরি আস্থা এবং বিশ্বাসের বিষয় । এখানে বিজেপি ছাড়াও অন্যান্য হিন্দু সংগঠনগুলি ঘর ঘর যাত্রা করছেন । তবে কিছু মানুষ এটা নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করতে চাইছেন, তাঁদের বলব আপনারা যাবেন না । আপনারা ওই চাল হাতে নেবেন না, তাহলে আপনাদের জাত চলে যাবে । তাই আপনারা হিন্দু হয়েও হিন্দুত্বের বিরোধিতা করবেন । রামমন্দির উদ্বোধনে যেতে ভয় পাবেন । এটা কোনও ভোটার রাজনীতি নয় ।"