পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

মানুষের বাস্তব সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন ফরোয়ার্ড ব্লকের

রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় ।

মানুষের বাস্তব সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন ফরওয়ার্ড ব্লকের
মানুষের বাস্তব সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন ফরওয়ার্ড ব্লকের

By

Published : Apr 16, 2020, 12:12 AM IST

কলকাতা, 15 এপ্রিল: এরাজ্যে কোরোনা পরিস্থিতি ঘনীভূত হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের অসহায়তা আরও বেড়ে গিয়েছে । লকডাউনে মানুষের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানালেন ফরোয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় ।

উদ্বিগ্ন নরেন চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে বলছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন । তাঁদের থাকা-খাওয়ার নিয়ে সেই সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । পাশাপাশি কোচবিহার জেলার 2 নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় 500 পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । অবিলম্বে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই জায়গায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে । সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অর্থ সাহায্য ও নির্দিষ্ট বাসস্থান তৈরি করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে ফরোয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে ।

রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর আবেদন, "আপনার কথামতো রাজ্যের সামান্য কিছু জায়গাতে রেশন দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা সার্বিকভাবে বন্টন হচ্ছে না । রাজ্য সরকার পক্ষ থেকে রেশন কার্ড যুক্ত ও বিনা রেশন কার্ডের গ্রাহকদের বিনামূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যের ব্যবস্থা করার আবেদন জানাচ্ছি । কোরোনা পরীক্ষা সংক্রান্ত কিটগুলি ব্যবহার করে সন্দেহভাজন রোগীদের পরীক্ষা করতে হবে ।" পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে কোরোনা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য দিতে হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ।

সেইসঙ্গে চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, চটকল ও চা শ্রমিকরা এখনও পর্যন্ত তাদের পারিশ্রমিক পায়নি‌ । রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চটকল ও চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে শ্রমিকদের পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করতে হোক । কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মতো IJM-এর অধীনে 37টি চটকল আছে । যার মধ্যে 18টি চটকলের 25 শতাংশ কর্মচারী নিয়ে চটকলগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । এছাড়া বাকি 19টি চটকল ও IJM-এর অধীনস্থ নয় এমন 16টি চটকল খোলার ব্যাপারে সরকার কোনও দায় নিচ্ছে না । এর ফলে খোলা চটকলের বাকি শ্রমিকরা এবং বন্ধ চটকলেরশ্রমিকরা হতাশাগ্ৰস্ত হয়ে পড়বে । এতে লকডাউন অমান্য করে আন্দোলনের পথে যাবে শ্রমিকরা । ফলে আইন-শৃঙ্খলা চূড়ান্তভাবে ভেঙে পড়বে । এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে ফরোয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details