মুখ্যমন্ত্রীকেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার পক্ষে সওয়াল প্রাক্তন উপাচার্যদের কলকাতা, 3 জুলাই: রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের সংঘর্ষ বারবার দেখা যাচ্ছে । তার মধ্যে সব থেকে বড় সমস্যা হল উপাচার্য পদে নিয়োগ নিয়ে । তবে মুখ্যমন্ত্রী যদি আচার্য হন তাহলেই সমস্যা মিটতে পারে বলে রাজ্যের প্রাক্তন ও বর্তমান উপাচার্যদের পক্ষ থেকে এবার সেই কথাই বলা হচ্ছে পরোক্ষভাবে । যদিও আচার্য পদে কোনও রাজনৈতিক রঙ লাগলে, তা কখনোই শ্রেয় নয় বলেই মনে করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলি ।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মাঝেমধ্যেই রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করতে গিয়ে উপাচার্যদের নাম ঘোষণা করে এসেছেন । আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অস্থায়ী উপাচার্য তিনি ঠিক করে দিয়েছেন । তবে এই বিষয় রাজ্য সরকার কিছুই জানে না বলেই বারবার সরব হয়েছে । এই নিয়ে আগেও রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান উপাচার্যরা মুখ খোলেন । সোমবার ফের তাঁরা আইনি নিয়ম মেনে যাতে আচার্য কাজ করেন, তা সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জানান ।
এ দিন ওই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য গৌতম পাল । তিনি বলেন, "আমার মনে হয় যদি মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গে উচ্চশিক্ষা দফতর ও তার সঙ্গে আচার্য অফিস খুব ভালো সমন্বয় হবে ও সুষ্ঠুভাবে চলবে ।"
প্রাক্তন উপাচার্যদের সাংবাদিক বৈঠক এই প্রসঙ্গ তুলে ধরতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র মনে করিয়ে দেন তেলঙ্গানার কথা । সুপ্রিম কোর্ট একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছে ৷ বিধানসভায় পাস হওয়া ফাইল কোনোভাবেই রাজভবনে বেশি দিন পড়ে থাকতে পারে না, এ কথা আগেই শিক্ষামন্ত্রী বসু জানিয়েছিলেন । সেই উদাহরণ আবারও তুলে ধরলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র ।
শিক্ষক সংগঠনগুলোর সাংবাদিক বৈঠক তবে আচার্য পদে কোনও রাজনৈতিক রং লাগলে, তা কখনোই শ্রেয় নয় বলে মনে করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়-সহ অন্যান্য রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলি 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিতেও স্থায়ী উপাচার্যের দাবি জানান ।
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসুন মুখ্যমন্ত্রী, শহর জুড়ে হোর্ডিং
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠনের পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘আচার্য পদ রাখতে হলে সেখানে একজন শিক্ষাবিদকে রাখা দরকার । কোনও রাজনৈতিক রং লাগা ব্যক্তিকে নয় । তাহলেই শিক্ষাক্ষেত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বাঁচানো সম্ভব ৷ সমন্বয় সাধন করার জন্য বিভিন্ন আমলা রয়েছেন । আচার্য বা মুখ্যমন্ত্রীর করার প্রয়োজন নেই ।"