কলকাতা, 22 জুন : বনকর্মীদের চোখে ফাঁকি দিয়েই চলছে কাঠ চুরি ৷ আটকানো যাচ্ছে না চোরাশিকার ৷ আর তা আটকাতেই আনা হল প্রশিক্ষিত কুকুর । ইতিমধ্যে সুন্দরবন টাইগার রিজ়ার্ভে একটি ও বক্সার টাইগার রিজ়ার্ভে একটি কুকুর নিযুক্ত রয়েছে ৷ এবার দক্ষিণ 24পরগনার সাউথ ডিভিশন ও গরুমারা জঙ্গলে চোরাশিকার ও কাঠ চুরি আটকাতে কাজে লাগানো হবে প্রশিক্ষিত কুকুর ।
চোরাশিকার আটকাতে বনদপ্তরের ভরসা অরল্যান্ডো-সায়না
জঙ্গলে চোরাশিকার ও কাঠ চুরি আটকাতে বনদপ্তর গোয়ালিয়র থেকে নিয়ে এল দুটি প্রশিক্ষিত কুকুর ৷ একটি কুকুরের নাম অরল্যান্ডো (কালো কুকুর) এটি গরুমারা যাবে । অন্যটির নাম সায়না( হলুদ কুকুর) এটি সাউথ ডিভিশনে যাবে ।
আজ সকালে সল্টলেকের ডিয়ার পার্কে দুটি প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে আসা হয়েছে । গোয়ালিয়রে এদের নয় মাসের ট্রেনিং হয় । তার সাথে চার জন স্টাফেরও ট্রেনিং হয় । প্রত্যেকটি কুকুরের সাথে দুজন করে থাকবে । চলতি মাসের 20 তারিখ ট্রেনিং শেষ হয় । আজই দুপুরের দিকে এই দুটি কুকুর তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে । একটি কুকুরের নাম অরল্যান্ডো (কালো কুকুর) এটি গরুমারা যাবে । অন্যটির নাম সায়না( হলুদ কুকুর) এটি সাউথ ডিভিশনে যাবে ।
ড. সুধীর চন্দ্র দাস (চিফ কনজ়ারভেটর অফ ফরেস্ট ও ফিল্ড ডিরেক্টর সুন্দরবন টাইগার রিজ়ার্ভ) বলেন, "এই দুটি কুকুরের কাজ হল যারা চোরা শিকারি, কাঠ যারা চুরি করে সেই রকম লোকজনকে খুঁজে বার করা । এখন বনদপ্তরের হাতে দুটি কুকুর রয়েছে । একটি সুন্দরবন টাইগার রিজ়ার্ভে এবং একটি বক্সার টাইগার রিজ়ার্ভে । এখন আরও দুটো যোগ হল ৷ আগামী দিনে আরও দুটো আসার পরিকল্পনা আছে । এর ফলে চোরা শিকার আরও রোখা যাবে বলে আশা রাখছি ।"