কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: দশম শ্রেণির পড়ুয়ার রহস্য়মৃত্য়ুর ঘটনায় সোমবার উত্তাল হয়ে ওঠে কসবা থানার রথতলা বাসস্ট্যান্ডের নিকটবর্তী একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ৷ খুনের ঘটনায় এবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছে কলকাতা পুলিশের ফরেনসিক দল। তারা ভালোভাবে গোটা স্কুলটি ঘুরে দেখবেন। মৃত পড়ুয়ার বাবার দাবি, গতকাল তার ছেলেকে এক শিক্ষিকা স্কুলের ছাদে নিয়ে গিয়েছিলেন। এদিন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা স্কুলের ছাদ ও যেখান থেকে ওই পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার হয় সেখান থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করবেন।
লালবাজার সূত্রের খবর, গতকাল রাতেই স্থানীয় কসবা থানায় মৃত পড়ুয়ার বাবা, স্কুলের প্রিন্সিপাল ও বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে 302 ধারায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সময় মতো সেই সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ গতকাল বিকেলে কসবা থানা থেকে কিছুটা দূরে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নীচ থেকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
তড়িঘড়ি তাকে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা করেন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার ছাত্রটির দেহের ময়নাতদন্তের জন্য চিকিৎসকদের বিশেষ দল গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। পরে ওই পড়ুয়ার বাবা অভিযোগ করেন, গতকাল তার ছেলের স্কুলে প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে প্রজেক্ট জমা দিতে পারেনি। তার জন্য তার ছেলেকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন ওই স্কুলের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা। এরপরেই তাঁকে ফোনে বলা হয় হাসপাতালে আসতে। কারণ তাঁর ছেলে নাকি স্কুলের সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে আসতেই তিনি তাঁর ছেলের মৃত্যুর কথা জানতে পারেন।
এদিন, মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তীও। শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, "ওই শিশুটি দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগছিল। বিশেষ করে তার মা তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সে একা হয়ে গিয়েছিল। আগে জানলে আমরা কথা বলতাম। অনেক চাপা রাগ অভিযোগ ছিল।
আরও পড়ুন:কসবায় দশম শ্রেণির ছাত্রের রহস্যমৃত্যু! কাঠগড়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ