কলকাতা, 7 ফেব্রুয়ারি: ছেলের জন্মদিনে হোটেলে পার্টি সেরে ফিরছিলেন তিনি ৷ চোখে পড়ে রাস্তার পাশে ডাস্টবিন থেকে খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে পথশিশুরা ৷ দৃশ্যটা ঘুমোতে দেয়নি আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডুকে ৷ সে রাতে ইন্টারনেটে খাবার নিয়ে তথ্য দেখে চমকে যান শিক্ষক ৷ সারাবিশ্বে কত খাবার রোজ নষ্ট হয়, আর কত মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাত কাটায় ৷ শুরু হয় শিক্ষক চন্দ্রশেখরের এক অন্য লড়াই (Who is Foodman Chandrasekhar) ৷
খাবার নষ্ট হওয়া বাঁচাতে পারলে বহু মানুষের জন্য অন্ন জোগানো যাবে ৷ সামাজিক সংগঠন ফিড তৈরি করে একটা বিপ্লবই করে বসলেন তিনি ৷ ভূভারতে এখন চন্দ্রশেখর বিখ্যাত 'ফুডম্যান' নামে ৷ তাঁর জীবনী নিয়ে স্প্যানিশ ভাষায় একটি বই উদ্বোধন হল কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় (International Kolkata Book Fair) ৷ বইটির নাম 'Mil Sonrisas', যার বাংলা মানে 'হাজার হাসি' ৷ এর আগে চন্দ্রশেখর কুণ্ডুর কীর্তি নিয়ে ইংরেজি ভাষায় 'থাউজ্যান্ড স্মাইলস' (Thousand smiles) প্রকাশিত হয়েছে ।
কীভাবে কাজ শুরু করলেন চন্দ্রশেখর ?
বিয়ে বাড়ি, বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে প্রচুর খাবার বেঁচে যায় ৷ শিক্ষক তথা সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর কুন্ডু সামাজিক মাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেন, "বেঁচে যাওয়া খাবার ফেলে দেবেন না ৷ বরং আমাদের দিন, আমরা তা ফুটপাথবাসী, দুঃস্থ, দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করব ৷" এতে ব্যাপক সাড়া মিলল ৷ এছাড়া তিনি বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, হোটেলের খাবার সংগ্রহ করে খাবার বিতরণের সূচনা করেন । তবে মাঝেমধ্যে নয়, কিছু দুঃস্থ মানুষের প্রতিদিন খাবার দরকার, তার খাবার চায় । তখন শুরু হল কমিউনিটি কিচেন ৷ আসানসোল ছাড়িয়ে এই ভাবনা পৌঁছল কলকাতা, সুন্দরবনের প্রান্তিক অঞ্চলে ৷ ক্রমে ক্রমে বাড়তে চন্দ্রশেখরের সহযোগীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকল ৷