পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Genome Sequence Laboratory: কলকাতায় প্রথম রাজ্য সরকারি জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরির উদ্বোধন

রাজ্য সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার (State Government Health Service) আওতায় এই প্রথম চালু হল জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরি (Genome Sequence Laboratory) ৷ কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে (Calcutta School Of Tropical Medicine) এই ল্যাবের উদ্বোধন করা হল বৃহস্পতিবার ৷

first Genome Sequence Laboratory opened under State Government Health Service in Kolkata
Genome Sequence Laboratory: কলকাতায় প্রথম রাজ্য সরকারি জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরির উদ্বোধন

By

Published : Dec 15, 2022, 5:07 PM IST

কলকাতা, 15 ডিসেম্বর:রাজ্য সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার (State Government Health Service) আওতায় এবার থেকে মিলবে নতুন সুবিধা ৷ সৌজন্যে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (Calcutta School Of Tropical Medicine) নয়া জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরি (Genome Sequence Laboratory) ৷ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের অধীনস্ত ইনসাকগের (INSACOG) অনুমোদন পেলেই এই ল্যাবরেটরি থেকে পরিষেবা পাওয়া যাবে ৷

সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, নয়া ল্যাবরেটরিটি পুরোদমে কাজ শুরু করলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলির জন্য আর শুধুমাত্র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি বা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত কল্যাণী জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবের নির্ভর করতে হবে না ৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধান্ত নিয়োগীর উপস্থিতিতে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এই গবেষণাগারের উদ্বোধন করা হয় ৷ প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের নিজস্ব কোনও জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরি ছিল না ৷ উল্লেখ্য, যেকোনও জীবের বংশগতি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমেই জানা যায় ৷ ডিএনএ এবং রক্তজনিত বিভিন্ন অসুখ নির্ণয় করা জন্যও এই পরীক্ষা করা হয় ৷ করোনাকালে এর চাহিদা ছিল ব্যাপক ৷ বিশেষ করে ওমিক্রনের সময় চিকিৎসকরা জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার উপর জোর দেন ৷ সেই সময় পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে অনেক সময় লেগে যেত ৷ আশা করা হচ্ছে, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে নয়া জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরি খোলায় এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই মিটবে ৷

আরও পড়ুন:নেই পর্যাপ্ত জায়গা, 48 নম্বর ওয়ার্ডে এক চিলতে ঘরে পৌরনিগমের স্বাস্থ্যকেন্দ্র

আপাতত এখানে যে পরিকাঠামো রয়েছে, তাতে একদিনে সর্বাধিক চারজনের জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করানো যাবে ৷ কিন্তু, এখনই সাধারণ মানুষ এই পরিষেবা পাবেন না ৷ আপাতত 'ট্রায়াল' হিসাবে পরপর 100 থেকে 150 জনের জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করানো হবে ৷ তারপর সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে পুণের ন্যাশনাল ভাইরোলজিতে ৷ তারা সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সবুজ সংকেত দিলেই তার ভিত্তিতে অনুমোদন দেবে ইনসাকগ ৷ আর তারপরই আমজনতা এই পরিষেবার সুবিধা নিতে পারবে ৷ নিয়ম অনুসারে, পরীক্ষার সাতদিন পরই পাওয়া যাবে রিপোর্ট ৷

ল্যাব টেকনিশিয়ানরা যাতে স্বচ্ছন্দে এই পরীক্ষা করতে পারেন, তার জন্য তাঁদের একটি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ৷ গত 12 ডিসেম্বর থেকে শুরু সেই প্রশিক্ষণ শিবির চলার কথা ছিল 16 ডিসেম্বর পর্যন্ত ৷ কিন্তু, তার আগে এদিনই (15 ডিসেম্বর, 2022) প্রশিক্ষিতদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র ৷

রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এই প্রসঙ্গে বলেন, "জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা অ্যাডভান্সড ল্যাবে হয় ৷ আমাদের এখানে সেই ল্যাবেরই উদ্বোধন করা হল ৷ কল্যাণীতে এই পরিকাঠামো রয়েছে ৷ তবে সেটি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন ৷ রাজ্য সরকারের অধীনে এই ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details