পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Bone Bank in WB: হাড়ের চিকিৎসায় নতুন দিশা, আরজিকরে গড়ে উঠছে রাজ্যের প্রথম বোন ব্যাঙ্ক - রাজ্যের প্রথম বোন ব্যাঙ্ক

চিকিৎসা বিজ্ঞানে কি না সম্ভব ৷ মৃতদেহের হাড় নিয়ে এবার বোন ব্যাঙ্ক গড়ে উঠতে চলেছে রাজ্যে ৷ ভিন রাজ্যে এই ব্যবস্থা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে এটাই প্রথম হতে চলেছে ৷ বোন ব্যাঙ্ক কী কাজ করবে, আমাদের এতে কী সুবিধা হবে সবকিছু জানতে পড়ুন এই প্রতিবেদন ৷

Etv Bharat
আরজিকর হাসপাতাল

By

Published : Jun 15, 2023, 4:39 PM IST

কলকাতা, 15 জুন: বর্তমানে দেহদানের প্রতি ঝোঁক বেড়েছে । মৃত্যুর পরেও ডাক্তারির বিভিন্ন কাজে লাগে মানবদেহ ৷ মৃতদেহকে সংরক্ষণ করে কখনও গবেষণা তো কখনও চিকিৎসা চলে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই দেহদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এতদিন কাজে লাগত সেই দেহের নানা অঙ্গ ও চামড়া। কিন্তু এবার মানুষের ভাঙা জায়গায় ব্যবহার হবে মানুষেরই হাড় । আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল দেখাচ্ছে অর্থোপেডিক চিকিৎসার নতুন দিশা । রাজ্যে প্রথম গড়ে উঠছে বোন ব্যাঙ্ক ।

অস্থি বা হাড়ের অস্ত্রোপচার করার সময় অস্থিসন্ধিতে যে প্লেট বসানো হয় সেই থেকে কোনও কোনও রোগীর সংক্রমণ দেখা যায় । তখন সংক্রমণ কমানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন যা স্যালাইনের মাধ্যমে রোগীর শরীরে দেওয়া হয় । তবে সেই সমস্যা দূর করতে এবার এই নয়া ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে এসেছে জোড়া প্রতিষ্ঠান । আইআইটি খড়গপুরের টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে একদফা আলোচনা হয়েছে অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকদের ।

ভাঙা হাড়ের অস্ত্রোপচার হলে হাড়ের মধ্যে একটা গ্যাপ তৈরি হয় । এখন শরীরের অন্য অংশের হাড় কেটে নিয়ে সেই সেই গ্যাপ পূরণের চেষ্টা করা হয় । এর জন্য বায়োডিগ্রেডেবল কিছু করা যায় কি না, এমন কিছু তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে । অর্থাৎ, এমন কিছু তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে যা শরীরে প্রবেশ করানোর পর ধীরে ধীরে শরীরের সঙ্গে মিশে গিয়ে ভাঙা হাড়ের গ্যাপ পূর্ণ করবে । মৃত্যুর পর আর ইমপ্ল্যান্ট, প্লেট বের করার প্রয়োজন পড়বে না । টিস্যুর সাহায্যে এমন একটা স্তর তৈরি করা হবে যা হাড়কে জুড়ে রাখতে সাহায্য করবে এবং শরীরে মিশে যাবে এমনই কিছু ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে ।

আরও পড়ুন : লিভার সমস্যায় নতুন ওষুধ, ট্রায়াল চলছে এসএসকেএম-এ

অন্যদিকে, যাদবপুরের সেন্ট্রাল গ্রাস অ্যান্ড সেরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক হবে নতুন করে কোনও পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় কি না । এক ধরনের সেরামিক বল, যেগুলি পুঁতির মতো দেখতে এরকম কিছু বানানোর চেষ্টা করা হবে । পুঁতিগুলোর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ঢুকিয়ে বা পুঁতির মধ্যে গুঁজে রোগীর শরীরের ক্ষতস্থানে ঢুকিয়ে সেলাই করে দেওয়া হবে । ওষুধটি শরীরে গিয়ে কাজ করবে, তারপর ধীরে ধীরে মিশে যাবে । 42-62 দিনের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধটি মিশে যাবে শরীরে ।

এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে কিছুটা কথাবার্তা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে । এটি শুরু হলে আগামিদিনে তা নজিরবিহীন হবে বলে জানিয়েছেন অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকরা । হাসপাতালের এক পদাধিকারী জানিয়েছেন, দেশের কিছু জায়গায় এই বোন ব্যাঙ্ক রয়েছে । তবে পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম। মৃত মানুষের দেহের হাড়গুলো যাতে ফেলে না-দিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে কাজে লাগানো যায় তার জন্যই এই প্রয়াস ।

আরও পড়ুন : প্রস্রাবের সময় রক্ত ? কিডনির সমস্যার নতুন ওষুধের ট্রায়াল এনআরএস হাসপাতালে

ABOUT THE AUTHOR

...view details