কলকাতা, 15 জুন: বর্তমানে দেহদানের প্রতি ঝোঁক বেড়েছে । মৃত্যুর পরেও ডাক্তারির বিভিন্ন কাজে লাগে মানবদেহ ৷ মৃতদেহকে সংরক্ষণ করে কখনও গবেষণা তো কখনও চিকিৎসা চলে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই দেহদান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এতদিন কাজে লাগত সেই দেহের নানা অঙ্গ ও চামড়া। কিন্তু এবার মানুষের ভাঙা জায়গায় ব্যবহার হবে মানুষেরই হাড় । আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল দেখাচ্ছে অর্থোপেডিক চিকিৎসার নতুন দিশা । রাজ্যে প্রথম গড়ে উঠছে বোন ব্যাঙ্ক ।
অস্থি বা হাড়ের অস্ত্রোপচার করার সময় অস্থিসন্ধিতে যে প্লেট বসানো হয় সেই থেকে কোনও কোনও রোগীর সংক্রমণ দেখা যায় । তখন সংক্রমণ কমানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন যা স্যালাইনের মাধ্যমে রোগীর শরীরে দেওয়া হয় । তবে সেই সমস্যা দূর করতে এবার এই নয়া ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে এসেছে জোড়া প্রতিষ্ঠান । আইআইটি খড়গপুরের টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে একদফা আলোচনা হয়েছে অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকদের ।
ভাঙা হাড়ের অস্ত্রোপচার হলে হাড়ের মধ্যে একটা গ্যাপ তৈরি হয় । এখন শরীরের অন্য অংশের হাড় কেটে নিয়ে সেই সেই গ্যাপ পূরণের চেষ্টা করা হয় । এর জন্য বায়োডিগ্রেডেবল কিছু করা যায় কি না, এমন কিছু তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে । অর্থাৎ, এমন কিছু তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে যা শরীরে প্রবেশ করানোর পর ধীরে ধীরে শরীরের সঙ্গে মিশে গিয়ে ভাঙা হাড়ের গ্যাপ পূর্ণ করবে । মৃত্যুর পর আর ইমপ্ল্যান্ট, প্লেট বের করার প্রয়োজন পড়বে না । টিস্যুর সাহায্যে এমন একটা স্তর তৈরি করা হবে যা হাড়কে জুড়ে রাখতে সাহায্য করবে এবং শরীরে মিশে যাবে এমনই কিছু ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে ।