সজলের পোস্টকে নোংরামি বললেন ফিরহাদ কলকাতা, 10 এপ্রিল:"আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও দিন কোনও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে সিবিআই লাগবে না ৷ নিজেই আত্মাহুতি দেব !" বিজেপি নেতা সজল ঘোষের একটি ফেসবুক পোস্টের প্রেক্ষিতে একথা বললেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ সেইসঙ্গে, সজলের পোস্টকে 'নোংরামি' বলেও ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি ৷
সোমবার সকালে সজল যে পোস্টটি করেছেন, তার মোদ্দা কথা হল, কলকাতা পৌরনিগমের কোনও একটি বিভাগে মোট 148 জনের চাকরি হয়েছে ৷ লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, ওই 148 জন রাজ্যের তিনটি নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা ! এই তিনটি এলাকার মধ্যে অন্যতম 'চেতলা বা ববি হাকিমের পাড়া' ! সজলের দাবি, সংশ্লিষ্ট বিভাগে ওই এলাকার 24 জনকে নিয়োগ করা হয়েছে ৷ এছাড়াও, নদিয়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে 118 জন এবং ভদ্রেশ্বর বা বৈদ্যবাটি স্টেশন এলাকা থেকে 6 জন সংশ্লিষ্ট পদগুলিতে চাকরি পেয়েছেন ৷ বিজেপি নেতার প্রশ্ন এমনটা কীভাবে হল ? 148টি পদে চাকরি করার জন্য শুধুমাত্র রাজ্যের তিনটি এলাকার মানুষই যোগ্য ? বাকি কোনও জায়গার মানুষের ওই পদগুলিতে চাকরি করার যোগ্যতা ছিল না ? বিষয়টি নিয়ে পৌরসচিব এবং মেয়রের কাছে জবাবদিহি দাবি করেছেন সজল ৷ সেইসঙ্গে, ওই পোস্টে সিবিআই তদন্তের পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি ৷
পরবর্তীতে সজলের এই পোস্ট নিয়েই ফিরহাদকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা ৷ প্রথমে এর জবাবই দিতে চাননি মেয়র ৷ তাঁর কথায়, যা হচ্ছে, সেগুলি 'নোংরামি' ! তিনি বলেন, "আমি এসবের কোনও উত্তর দেব না ৷" পরে যদিও উত্তর দেন ফিরহাদ ৷ এবং উত্তর দেওয়ার সময় তাঁকে যথেষ্ট আবেগঘন বলে মনে হয় ৷ সজলের এই অভিযোগ যে ফিরহাদকে ব্যথিত করেছে, সেটা তাঁর কথার সুরেই স্পষ্ট !
আরও পড়ুন:মমতাকে অন্ধকারে রেখেই কলকাতায় পার্কিং ফি বৃদ্ধি ! ফিরহাদকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে বর্তমানে জেরবার রাজ্যের সরকার ৷ সেই দুর্নীতির তদন্তের জেরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে ৷ আর তারপরই সামনে আসে পৌরসভা ও পৌরনিগমগুলিতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ৷ সজল তাঁর এদিনের ফেসবুক পোস্টে সরাসরি সেই ঘটনার সঙ্গে কলকাতা পৌরনিগমের নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও পৌরসচিবের দিকে আঙুল তুলেছেন ৷ উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই বিজেপি নেতা তথা কাউন্সিলর কিছু তথ্য সামনে এনেছিলেন ৷ যা নিয়ে পৌরনিগমে শোরগোল পড়ে যায় ৷ সেটি হল, পৌরনিগমের এক আধিকারিকের মাসিক চায়ের খরচের বিস্তারিত বিল ! সেই বিলের তথ্য নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠলেও তার সদুত্তর দিতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ ৷ আর এবার তো স্বয়ং মেয়রকেই কাঠগড়ায় তুললেন সজল !