কলকাতা, ১১ মার্চ : বিরোধীদের 'অর্ধ শিক্ষিত', 'গর্ধ শিক্ষিত' বলে কটাক্ষ করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "বিরোধীরা জানে না যে পৌরকর্মীদের পেনশন বা বেতনের টাকা রাজ্য সরকার দেয়। মোটেই পৌরনিগমের সঞ্চিত অর্থ থেকে পেনশন বা বেতনের টাকা দেওয়া হয় না।" উল্লেখ্য, এর আগে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, FD ভেঙে সেই সঞ্চিত অর্থ বেহিসেবি ভাবে খরচ করেছে পৌরনিগম। সঞ্চিত অর্থ সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে আজ সরগরম ছিল পৌরনিগম অধিবেশন।
বিরোধীরা অর্ধ শিক্ষিত, গর্ধ শিক্ষিত : ফিরহাদ
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বিরোধীরা জানে না যে পৌরকর্মীদের পেনশন বা বেতনের টাকা রাজ্য সরকার দেয়। মোটেই পৌরনিগমের সঞ্চিত অর্থ থেকে পেনশন বা বেতনের টাকা দেওয়া হয় না।" উল্লেখ্য, এর আগে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, FD ভেঙে সেই সঞ্চিত অর্থ বেহিসেবি ভাবে খরচ করেছে পৌরনিগম।
কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে ২০১০-এ পৌরনিগমের সঞ্চিত অর্থ ছিল ১১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে পৌরপ্রধান ফিরহাদ হাকিমের দাবি, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এই অর্থ ব্যয় হয়েছে। কিন্তু আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য যে সঠিকভাবে কর আদায় করা হচ্ছে না।" তিনি আরও বলেন, "প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ কর জমা দেন। সঠিকভাবে কর আদায় হলে পৌরনিগমের সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ৭০ কোটি টাকা হয় না। তার মানেই ঠিক মতো কর আদায় হচ্ছে না। অন্যান্য জায়গায় পৌরসভার কর ফাঁকি দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাহলে কলকাতার ক্ষেত্রে এরকম হবে না কেন ? প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখার্জি কিন্তু প্রয়োজনে গ্রেট ইস্টার্নের জলের লাইন কেটে দিয়েছিলেন।" প্রকাশবাবু অভিযোগ করেন, "কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে সঠিকভাবে কর আদায় করা যাবে না। আর এইভাবে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকলে পৌরনিগম ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়বে। কর আদায় না করে বসে বসে সঞ্চিত অর্থ খরচ করাকে আমি সমর্থন করি না।"
অন্যদিকে, বিরোধীদের এই অভিযোগের উত্তরে পৌরপ্রধান ফিরহাদ হাকিম বলেন, "২০০৫-এ যখন সুব্রত মুখার্জি পৌরপ্রধানের পদ ছেড়ে দেন তখন পৌরনিগমের জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৩৭৭.১৬ কোটি টাকা। এরপর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পৌরপ্রধান পদে বসেন। বিকাশবাবু ৭২১.০৫ কোটি টাকার জমি বিক্রি করেছিলেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট জমা অর্থ ছিল ১০৯৮.২১ কোটি টাকা। এরপর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পৌরপ্রধান থাকাকালীন কিছু টাকা খরচ হয়েছিল। ২০১০-এ পৌরসভার জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৮৮ কোটি টাকা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতা পৌরনিগমের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শহরজুড়ে নানা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। অনেকগুলি পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। বস্তি উন্নয়নের কাজ হয়েছে, আলোকসজ্জার কাজ হয়েছে।" তিনি আরও বলেন,"পৌরনিগম একটি ওয়েলফেয়ার সংস্থা। সেখানে FD রাখার কোনও মানে হয় না। বরং নাগরিকদের পরিষেবা দিতে যা প্রয়োজন সেটা খরচ করা উচিত।"