কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কলকাতা, 17 ডিসেম্বর: সপ্তাহখানেক আগেই রক্সি বিল্ডিংয়ের নীচে থাকা 13টি দোকান বন্ধ করে দিয়েছিল কলকাতা কর্পোরেশন । আদালতের নির্দেশে বন্ধ দোকানের তালা সিল করে নোটিশ টাঙিয়েছিল তারা । লেখা ছিল বেআইনি দখলদার । সিল ভাঙলে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে । তবে রুটি-রুজির প্রশ্নে এবার মানবিক হলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। আলোচনার টেবিলেই মিলল সমাধানসূত্র (Firhad Hakim is Returning Shop) ।
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, বকেয়া সব ভাড়া মিটিয়ে দিলে শর্তসাপেক্ষে রক্সি ভবনের নীচে ব্যবসার অনুমতি পাবেন দোকানদাররা । জানা যাচ্ছে, কলকাতা কর্পোরেশন দোকানদারদের বলেছে 57 টাকা প্রতি বর্গ ফুট হিসেবে দিতে হবে ভাড়া । এককালীন একটা টাকা জমা দিতে হবে । তবে দোকানদাররা পালটা আবেদন করেছেন ঢিল ছোড়া দূরত্বে হগ মার্কেট । সেটাও কর্পোরেশনের । তাদের প্রতি বর্গফুট 12 টাকা ভাড়া দিতে হয় । তাহলে কেন তাদের এত বেশি । ভাড়া খানিক কমানোর আবেদন করেন তাঁরা । দোকানদাররা তাঁদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিলে সেক্ষেত্রে যে 13টি দোকান সিজ করে দেওয়া হয়েছিল, পুনরায় তাঁদের হাতে দোকানের চাবি তুলে দেওয়া হবে ।
আরও পড়ুন:স্বচ্ছতা আনতে ডিজিটাল লাইব্রেরি করল কলকাতা পৌরনিগম
প্রসঙ্গত, রক্সি সিনেমা হল বিল্ডিং নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহুদিনের বিতর্ক ছিল সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের । ঝামেলা গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত । 2019 সালের ডিসেম্বর মাসের গোড়ার দিকে হাইকোর্টের তরফে রায়ে জানানো হয়েছিল, আগামী ছয় মাসের মধ্যে দখলমুক্ত করতে হবে রক্সি সিনেমা হল (Roxy Cinema Hall) ও তার সামনের ফুটপাথ । কিন্তু এরপর 3 বছর পেরিয়ে গেলেও জবরদখল করে চালানো হচ্ছিল রক্সি ভবনের নীচের দোকানগুলি । মাঝে করোনার জন্য 2 বছর কলকাতা কর্পোরেশন তরফে সময়ও দেওয়া হয়েছিল দোকানদারদের । তবে অতিমারী কাটলেও সরেনি দোকানদাররা । সম্প্রতি ফের চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নোটিশ করা হয় জায়গা খালি করে দেওয়ার জন্য । তারপরেও কাজ হয়নি ।
অবশেষে 10 ডিসেম্বর পুলিশ নিয়ে গিয়ে 'দখলদার'দের সরিয়ে দোকান সিল করে দেয় আধিকারিকরা । কলকাতা পৌরসভার মার্কেট বিভাগের চিফ ম্যানেজার ভাস্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিভাগীয় আধিকারিক কর্মীরা গিয়ে দোকান বন্ধ করে শাটার নামিয়ে দেন । 13টি দোকান সিল করা হয়েছে । এরপরেই রুজি-রুটির হাল ফেরাতে পৌরকর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন ব্যবসায়ীরা । আয় ঠিক রেখে কীভাবে দোকানদারদের ব্যবসা চালানোর অনুমতি দেওয়া যায় তা নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকেই ব্যবসায়ীদের আয় সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয় পৌরসভার তরফে ।
আরও পড়ুন:এবার শহরে গাছ লাগাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান মেয়রের
শুক্রবার এই বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, "আইজিআর ভ্যালুতে যে ভাড়া আছে সেই লেটেস্ট ভাড়া এবং বাকি আর যে বকেয়া আছে সেই সব ভাড়া মেটাতে হবে ব্যবসায়ীদের । তাহলেই ফের তাঁদের ব্যবসার অনুমতি দেওয়া হবে ।"