পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

100 Days Work: মেয়রের অনুমতি ছাড়া একশো দিনের কাজের কর্মীদের ছাঁটাইয়ে নিষেধাজ্ঞা - নির্দেশিকা পৌর কর্তৃপক্ষের

মেয়রের অনুমতি ছাড়া ইচ্ছে মতো 100 দিনের কর্মী ছাঁটাই নয়, নির্দেশিকা পৌর কর্তৃপক্ষের ৷

100 Days Work
ফাইল ছবি

By

Published : May 22, 2023, 11:08 PM IST

কলকাতা, 22 মে:কাউন্সিলররা ইচ্ছে মতো 100 দিনের কর্মীদের ছাঁটাই করতে পারবেন না। নিজের ঘনিষ্ঠ লোকজনকে ইচ্ছেমতো নিয়োগ করতেও পারবেন না। তার জন্য প্রয়োজন মেয়রের অনুমোদন। সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা কর্পোরেশনের পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার। সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, মেয়রের অনুমতি ছাড়া যথেচ্ছভাবে 100 দিনের কর্মীদের কাছ থেকে বসানো যাবে না। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকার কপি 144টি ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধিদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।

কয়েক সপ্তাহ আগে বেতন না-পাওয়ার অভিযোগে সরবে হয়ে বিক্ষোভ দেখান বেহালার 100 দিনের কর্মীরা। এই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই আন্দোলনরত কর্মীদের একাংশকে বসিয়ে দেওয়া হয়। সেই জায়গায় নতুন কর্মী নিয়োগ হয়। আন্দোলন করার জন্যই আচমকা এই কর্মী ছাঁটাই বলে অভিযোগ ওঠে এলাকার কাউন্সিলরেরদের বিরুদ্ধে। এরপরেই বিষয়টি কড়া হাতে দমনের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের আদেশে নির্দেশিকা জারি করেন পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার।

সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক কন্ট্রোলিং অফিসারকে 100 দিনের কর্মীদের হাজিরা খাতায় নিয়মিত নজর রাখতে হবে। কোনও কর্মী কাজ না-করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যখন তখন কাউকে ছাঁটাই বা নতুন কর্মী নেওয়া যাবে না। তা করতে গেলে মেয়রের অনুমোদনের প্রয়োজন। সঙ্গে সেই কর্মীর কাজের রেকর্ড পাঠাতে হবে। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, শহরে এখন 70-80 জন নতুন কাউন্সিলর। 100 দিনের পুরনো কর্মী ছাঁটাই বা নিজের ঘনিষ্ঠ নিয়োগের অভিযোগ বেশিরভাগ সেই সব ওয়ার্ড থেকেই।

নির্দেশিকার কপি

আরও পড়ুন:বাড়ি মেরামতিতে কাউন্সিলরের অনুমতি লাগবে না, নাগরিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বার্তা মেয়রের

বিরোধীদলের হাত থাকা ওয়ার্ডে জিতে এসে পুরনো কর্মীদের বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে যেমন, তেমন বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজনকে সরিয়ে নিজের লোকজন ঢোকানোর অভিযোগ আছে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পুরনো যারা কাজ করতেন তাঁদের বসিয়ে দিতে নতুন যাদের নেওয়ার হয় কিন্তু তাঁরা কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে কাজ করেন না। এই অভিযোগ বা সমস্যার কথা অধিবেশনে একাধিবার তুলে সতর্ক করেছেন জঞ্জাল সাফাই বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার।

এসব কারণে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সমস্যা শুরু হয়েছিল। অন্যদিকে, নতুন নিয়োগ হওয়া কর্মীরা কাউন্সিলরের পছন্দের হওয়ায় অনেকেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছিলেন না, কাজে ফাঁকি দিচ্ছিলেন। ফলে সব মিলিয়ে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এক আধিকারিকের কথায়, এই মুহূর্তে বিশেষ করে জঞ্জাল সাফাই বিভাগের অধিকাংশ স্থায়ী পড়ে কর্মী নিয়োগ না-করে 100 দিনের কর্মী নিয়োগ করা হয়। সামান্য মজুরিতে কাজ করানো হয়। কিন্তু কাউন্সিলরের কাছের বলে তারা কাজ না-করাতে পুরো সিস্টেম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল। এই অবস্থার পরিবর্তন করতেই এমন পদক্ষেপ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

ABOUT THE AUTHOR

...view details