কলকাতা, 30 জানুয়ারি: "অনুব্রতকে ছেঁটে ফেলার কোনও প্রশ্নই নেই ৷ অনুব্রতর ব্যানার নেই, কারণ তিনি জেলে আছেন ৷" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফর (Mamata Banerjee Birbhum Visit) চলাকালীন জেলার কোথাও অনুব্রত মণ্ডলের কোনও ছবি না থাকা নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছে, সোমবার এভাবেই তার জবাব দিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim comments over Anubrata Mondal absence on Banners and Posters) ৷
কেষ্টহীন বীরভূমে জেলাসফরে যাচ্ছেন মমতা ৷ তাঁর সফরসঙ্গী হচ্ছেন মন্ত্রী ফিরহাদও ৷ মমতা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বীরভূমে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন জাগায় লাগানো হয়েছে ব্যানার ও পোস্টার ৷ কিন্তু, সেইসব ব্যানার ও পোস্টারের কোথাও অনুব্রত মণ্ডলের নাম বা ছবি নেই ৷ আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা ৷ বিরোধীদের দাবি, গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:কেষ্টভূমে মমতার সফরে ব্রাত্য অনুব্রতর ছবি !
সোমবার এ নিয়ে ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা ৷ জবাবে ফিরহাদ বলেন, "এসব আসলে বোকা বোকা কথা ৷ ওখানে যে ব্যানার, পোস্টার লাগানো হয়েছে, তা বীরভূমে আসা ব্যক্তিদের স্বাগত জানাতেই লাগানো হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যাচ্ছেন, আমিও যাচ্ছি ৷ তাই আমাদের নামে ব্যানার, পোস্টার লাগানো হয়েছে ৷ আরও তো মন্ত্রী আছেন, তাঁদের নামে কি ব্যানার দেওয়া হয়েছে ? হয়নি ৷ কারণ, তাঁরা তো আর বীরভূমে যাচ্ছেন না ৷ আর অনুব্রতও তো বীরভূমে যাচ্ছেন না ৷ তিনি জেলে রয়েছেন ৷ তাহলে তাঁর নামে কেন ব্যানার বা পোস্টার লাগানো হবে !"
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর এই বীরভূম সফরে যে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি ও নাম কোথাও ব্যবহার করা হবে না, তা আগেই শাসকদল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থির করা হয়েছিল ৷ ওয়াকিবহাল মহলের ব্যাখ্যা, একদিকে অনুব্রতর উপর থেকে প্রভাবশালী তকমা হটানো এবং অন্যদিকে, আমজনতাকে বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ কারণ, যেভাবে মমতা থেকে শুরু করে ফিরহাদ বারবার অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, তাতে তাঁর জামিন পাওয়া আরও মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ অন্যদিকে, এর জেরে গরুপাচার, লটারি দুর্নীতি-সহ নানা ঘটনায় অভিযুক্ত অনুব্রতকে আড়াল করার অভিযোগও উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এতে দলের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷ তার জেরেই মমতার এই সফরে অনুব্রতকে নিয়ে কোনওরকম মাতামাতি চাইছে না রাজ্যের শাসকশিবির ৷ যদিও প্রকাশ্যে একথা স্বীকার করতে মোটেও রাজি নয় তারা ৷