কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: বেআইনি রাবিশ ভর্তি গাড়ি দেখে কনভয় থামিয়ে হাতেনাতে ধরলেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম । এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি । সোমবার বেলহার 16 নম্বর বরোয় যাচ্ছিলেন মেয়র । সেই সময় দুপুর দেড়টা নাগাদ চারটে রাবিশ বোঝাই গাড়ি দেখতে পেয়ে মাঝেরহাট ব্রিজের কাছে কনভয় থামিয়ে নিচে নামেন ।
দক্ষিণ 24 পরগনার দিক থেকে একের পর এক রাবিশ ভর্তি গাড়ি সেই সময় মাঝেরহাট ব্রিজ দিয়ে কলকাতায় ঢুকছিল । তখনই তিনি সেই গাড়িগুলি আটকান । এরপর নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে জানতে চান গাড়িগুলির চালান বা বৈধ নথি আছে কি না । কিন্তু সেই গাড়িগুলির চালকরা এর সদুত্তর দিতে পারেননি । মেয়র তখন বাকি গাড়িগুলোর নম্বর লিখে নেন ।
কয়েকমাস আগেই পুকুর ভরাটের অভিযোগ জানিয়ে দক্ষিণ কলকাতা থেকে একাধিক ফোন এসেছিল টক টু মেয়রে । তখনই ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছিলেন, দক্ষিণ 24 পরগনা থেকে এই গাড়িগুলো আসে কলকাতার দক্ষিণ অংশে বিভিন্ন পুকুর ভরাট করতে এই রাবিশ ব্যবহার হয় । এরপর এই কর্মকাণ্ড ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য তিনি কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে চিঠিও দেন । কিন্তু আজকের ফের এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভপ্রকাশ করেন ।
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমাদের নিয়ম হয়ে গিয়েছে । পুলিশ কমিশনারকে চিঠিও দিয়েছি । আজও একই ঘটনা ঘটল । পরের পর চার-পাঁচটা গাড়ি ধরলাম । নম্বরগুলো আমাদের কাছে আছে, পুলিশ কমিশনারকে দেব ।" এরপরেই বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, "এইভাবে যদি দূষণের বিরুদ্ধে আমাদের একা লড়াই করতে হয় পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে তাহলে এটা অসম্ভব । আমি অনুরোধ করব পুলিশ কমিশনারকে, মাঝেরহাটের এই এলাকায় নজরদারি বাড়ালে পুকুর ভরাটের বাজে রোগে লাগাম দেওয়া যাবে । আমরা সিএনডি প্ল্যান্ট করেছি । সেখানেই বাধ্যতামূলকভাবে নির্মাণ বর্জ্য রাখতে হবে । তারপরেও এই গাড়ি আসছে কী করে ? 15 বছরের পুরনো লরি নম্বর প্লেট নেই এইভাবে দূষণে বিরুদ্ধে একা লড়াই কী করে করব ? মুখ্যমন্ত্রীকে বলব ৷ কিন্তু তিনিও কিছু করতে পারবেন না যতক্ষণ না গ্রাউন্ড অ্যাকটিভিটি বাড়ে ।"