কলকাতা, 31 জানুয়ারি: ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড ৷ এবার ঘটনাস্থল তপসিয়ার 42 নম্বর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি জুতোর কারখানায় (Devastating Fire in Topsia Shoe Factory) ৷ দমকল সূত্রে খবর, ওই কারখানায় এদিন বিকেলবেলা আচমকাই আগুন বের হতে দেখেন কারখানার শ্রমিকরা ৷ কিন্তু, সেই আগুন নিমিষে ছড়িয়ে পড়ে গোটা কারখানায় ৷ খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশে ৷ দমকলের 10টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করে ৷ সন্ধ্যা 7 টা 50 নাগাদ আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি দমকল বিভাগের।
এদিন বিকেল 4টে 45 মিনিট নাগাদ ওই জুতো কারখানায় আগুন লাগে ৷ প্রথম অবস্থায় দমকলের 7টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায় ৷ তবে, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় প্রথম অবস্থায় দমকলের কাজ করতে যথেষ্ঠ সমস্যা হয় ৷ পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও 3টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় ৷ তবে, প্রথমের দিকে দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছনোর আগে স্থানীয়রাই বালতি করে জল নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ৷ পরে দমকল সেখানে পৌঁছয় ৷
আগুনের উৎসস্থলে দমকল কর্মীরা পৌঁছনোর চেষ্টা করেন ৷ দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, জুতো কারখানা হওয়ায় সেখান প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল ৷ ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ৷ পাশাপাশি, জুতোর আঠা-সহ বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল সেখানে ছিল ৷ সেগুলি আগুন ছড়িয়ে পড়তে এবং তার তেজ বাড়াতে সাহায্য করেছে ৷ ফলে দমকলকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যায় পড়তে হয় ৷ তবে কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে দমকলের তরফে জানানো হয়েছে য
আরও পড়ুন:ইংরেজবাজারে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে খাক একই পরিবারের তিনটি বাড়ি
তপসিয়ার ওই জায়গায় একাধিক কারখানা রয়েছে ৷ ফলে সেখানে আগুন যাতে ছড়িয়ে না-পড়ে সেই বিষয়টিও মাথায় রেখেছিলেন দমকলকর্মীরা ৷ গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল ৷ ফলে স্থানীয়দের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা শুরু হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে ৷ অফিস টাইমে ব্যস্ত সময় তপসিয়ার মতো এলাকায় আগুন লাগায় যানজট তৈরি হয়েছিল ৷ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন অতিরিক্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট ৷