কলকাতা, 6 জুন:সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা ৷ সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচেনে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বাইরন বিশ্বাস ৷ কিন্তু সম্প্রতি তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন ৷ আর এরপরই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা।
সম্প্রতি ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে দল বদল করেন বাইরন বিশ্বাস ৷ কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, সোমবার বাইরনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানবিচারপতি ৷ মামলাকারী আইনজীবী সৌম্য শুভ্র রায়ের দাবি, যেভাবে কংগ্রেসের টিকিটে সাধারণ মানুষের ভোটে বাইরন বিশ্বাস উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, তা সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও ভরসার অমর্যাদা করার সামিল। আর সে কারণেই আদালতের উচিত তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।
একই সঙ্গে, মামলাকারী আইনজীবী জানিয়েছেন, যদিও বিধায়ক পদ খারিজের এই ক্ষমতা একমাত্র বিধানসভার অধ্যক্ষের এক্তিয়ারভুক্ত ৷ তবু আদালত চাইলে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলেও জানান তিনি। কারণ হিসাবে তাঁর ব্যাখ্যা, এই ঘটনার সঙ্গে জনস্বার্থ জড়িত। কয়েকদিন আগে এই একই দাবিতে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন বলে জানান মামলাকারী আইনজীবী। বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে চিঠি চিঠি দিয়ে জানালেও, সেই আবেদনে সাড়া না-মেলায় মামলা করা ছাড়া উপায় ছিল না বলেও জানান তিনি ৷ গত ফেব্রুয়ারিতে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন বাইরন বিশ্বাস। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ছিল বিরোধী শিবির। অন্যদিকে শাসক দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ঘোষণা করার শুরু থেকে বাইরন বিশ্বাস নানা রকম আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছিলেন। বার বার হাইকোর্টের দ্বারস্থও হতে হয়েছে তাঁকে ৷
আরও পড়ুন:অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে ইডির নোটিশ, 8 জুন তলব দফতরে
কিছুদিন আগে নিরাপত্তার দাবিতেও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাইরন। সেই মামলায় হাইকোর্ট তাঁর জন্য একজন পুলিশি নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করার নির্দশও দিয়েছিল রাজ্যকে। এর কিছুদিনের মধ্যেই ঘাটালের একটি রাজনৈতিক সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। তৃণমূলে যোগদানের কারণ হিসাবে বাইরন জানিয়েছেন, সে কংগ্রেসে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলেন না। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতেই শাসক দলে নাম লিখিয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন বাইরন ৷