পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Nov 10, 2022, 7:19 PM IST

ETV Bharat / state

WB Paddy Procurement: পছন্দ মতো সময়ে ধান বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা, সুযোগ করে দিচ্ছে রাজ্য

1 নভেম্বর থেকে ধান সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে রাজ্যে। কৃষকদের থেকে সরাসরি 55 লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য ৷ এ বছর ধান বিক্রির জন্য তাঁদের সুবিধা মতো সময়সূচি ঠিক করতে পারবেন কৃষকরা (WB Paddy Procurement)।

ETV Bharat
Paddy Procurement in west bengal

কলকাতা, 10 নভেম্বর: রাজ্যে এই প্রথম নিজেদের পছন্দের সময়ে কৃষকরা সরাসরি খাদ্য দফতরের কাছে ধান বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন ৷ রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ চলতি বছরে কৃষকদের থেকে ধান কেনার প্রক্রিয়া 1 নভেম্বর থেকে শুরু করেছে । চলবে টানা এক মাস । কৃষকদের থেকে সরাসরি 55 লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন (West Bengal Paddy Procurement) ।

খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, কৃষকরা তাঁদের নিজ নিজ জেলার নিকটতম ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রির জন্য তাঁদের সুবিধা মতো সময়সূচি ঠিক করতে পারবেন । কৃষকরা আগামী 30 দিনের মধ্যে স্লটের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে যেকোনও ক্রয় কেন্দ্র বেছে নিতে পারেন । আরও জানা গিয়েছে, যদি কোনও কৃষক নির্ধারিত দিনে তার ধান বিক্রি করতে ব্যর্থ হন, তবে তিনি নির্ধারিত তারিখের 10 দিন পরে আবার সময়সূচি ঠিক করতে পারবেন । প্রয়োজনে সময়সূচিও পরিবর্তন ও যে কোনও পরবর্তী উপলব্ধ তারিখ বেছে নিতে পারবেন তিনি (farmers can sell their paddy according to their convenient time in West Bengal)।

পছন্দ মতো সময়ে ধান বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা, সুযোগ করে দিচ্ছে রাজ্য

আরও পড়ুন:বাগডোগরায় যুদ্ধবিমানের জরুরি অবতরণে ক্ষতিগ্রস্ত রানওয়ে, বাতিল একাধিক বিমান

এর জন্য খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের সাইটে গিয়েও তারিখ নির্ধারণ করা যাবে ৷ খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের তরফে ইতিমধ্যে জেলার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে এই বার্তা দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে । ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) প্রতি কুইন্টাল 2 হাজার 40 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে । সিপিসি (কেন্দ্রীকৃত ক্রয় কেন্দ্র), ডিপিসি (বিকেন্দ্রীকৃত ক্রয় কেন্দ্র) এবং মোবাইল সিপিসিগুলিতে ধান বিক্রি করলে কৃষকদের প্রতি কুইন্টালে 20 টাকা অতিরিক্ত দিচ্ছে রাজ্য সরকার ।

খাদ্য বিভাগ এই বছর প্রথমবারের মতো মোবাইল সিপিসি চালু করার পরিকল্পনা করেছে । যা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকদের দোরগোড়ায় পরিষেবা পৌঁছে দেবে । ফলে সেখানকার কৃষকদের ধান বিক্রি করতে সুবিধা হবে ৷ মনে করা হচ্ছে, রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক যাঁরা ধান বিক্রির জন্য সিপিসিতে পৌঁছাতে পারে না, এই মোবাইল সিপিসিগুলি অনুমোদন পেলে তাঁদেরও সুবিধা হবে ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details