কলকাতা, 9 জুন : জাতীয় স্তরে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । আজ দুপুরে নবান্নে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার শীর্ষ নেতা রাকেশ টিকায়েত । মমতার সঙ্গে এই বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে ।
বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, মোদি-শাহ বিরোধী বৃহত্তর জোট গঠনের প্রক্রিয়া কার্যত কলকাতার এই বৈঠকের মধ্যে দিয়েই শুরু হতে পারে । কারণ দেশের কৃষক শ্রেণী মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ । গত নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া দেশের সর্ববৃহৎ কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্ত হলে নিসন্দেহে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে । একইভাবে কৃষক আন্দোলনও নতুন গতি পাবে ।
এই মুহূর্তে টিকায়েতরা চাইছেন, গোটা দেশের বিরোধী রাজনীতির প্রধান মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরতে । সেদিক থেকে বিচার করলে আজকের এই বৈঠক বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ । সূত্রের খবর, আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের সঙ্গে দেশের যে ছয় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, তার প্রতিটিতেই আছড়ে পড়েতে চলেছে কৃষক আন্দোলনের ঢেউ ।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু হওয়া ‘নো ভোট ফর বিজেপি’ ক্যাম্পেনকে অন্য রাজ্যেও নিয়ে যেতে চাইছেন কৃষক আন্দোলনের নেতারা । দেশজুড়ে উঠবে নতুন স্লোগান, ‘আর নয় বিজেপি ।’ সেই স্লোগানেই এবার সিলমোহর চাইছেন কৃষকরা ও মোদি বিরোধী দলগুলি । সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, পঞ্জাব শুনতে চাইছে কীভাবে মমতা থামালেন বিজেপির ‘বিজয় রথ’।
প্রসঙ্গত, গত 2 মে বাংলার বিধানসভার ফল ঘোষণার পরে বাংলার সঙ্গে বিজয়োৎসব পালন করেছিলেন দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকরা । বিস্তর লাড্ডু বিলি হয়েছিল সেখানে । কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এগিয়ে আসা প্রবাসীরা সেদিন থেকে শুরু করেছিলেন ‘#থ্যাঙ্কইউবেঙ্গল’ প্রচার । রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সংগ্রামী সেই কৃষকদের প্রতি এবার মমতার কৃতজ্ঞতা জানানোর পালা । সেই জন্যই গোটা দেশ আজ তাকিয়ে থাকবে নবান্নের এই বৈঠকের দিকে ।
আরও পড়ুন :দর্শকের বিচারে সেরার সেরা টেস্ট সিরিজ় বর্ডার-গাভাসকর 2020-21
মমতার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে গোটা দেশের কৃষক আন্দোলনকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী । বাংলার কৃষককুলের সামনে আমরা প্রচার করেছিলাম, নো ভোট ফর বিজেপি । গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল সেই নির্বাচনের দিকে । বাংলার কৃষকরা আমাদের মান রেখেছেন । এবার ‘বাঙ্গাল কী শেরনি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাতে কলকাতা যাচ্ছি আমরা ।’’