কলকাতা,7 মে : পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কমপক্ষে তিন মাস কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা চলবে না। আজ এই দাবি জানাল অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজ়িউমার অ্যাসোসিয়েশন(অ্যাবেকা)। লকডাউনের সময়কালে এবং আগামী তিন মাস প্রতি মাসে 200 ইউনিট করে বিদ্যুৎ বিনা পয়সায় সরবরাহ করতে হবে বলে বিদ্যুৎমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন, অ্যাবেকার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুব্রত বিশ্বাস।
বিদ্যুতের মাশুল ছাড়ের দাবি - বিদ্যুৎ সংযোগ
ক্ষুদ্রশিল্পের ক্ষেত্রে ফিক্সড চার্জ বা স্থির ধার্যমূল্য বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে আগামী তিন মাস ক্ষুদ্রশিল্প এবং কৃষি ক্ষেত্রে কোনও রকম বিদ্যুতের বিল পাঠানো যাবে না। বিল মকুব করতে হবে । দাবি জানাল অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজ়িউমার অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবেকা)।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবির কথা জানিয়েছেন। সুব্রত বিশ্বাস বলেন, "ক্ষুদ্রশিল্পের ক্ষেত্রে ফিক্সড চার্জ বা স্থির ধার্যমূল্য বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে আগামী তিন মাস ক্ষুদ্রশিল্প এবং কৃষি ক্ষেত্রে কোনও রকম বিদ্যুতের বিল পাঠানো যাবে না। বিল মকুব করতে হবে গৃহস্থদেরও। CESC-র ক্ষেত্রেও একই দাবি রয়েছে। রিবেট সহ বিল তিন মাস পর পাঠানো হোক গ্রাহকদের। আপাতত বিল না মেটানোর কারণে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের জনবিরোধী বিদ্যুৎ আইন প্রত্যাহার করা হোক।"
রাজ্যজুড়ে দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহীন হয়েছেন বহু মানুষ। রোজগার একপ্রকার বন্ধ ৷ অথচ বিদ্যুতের বিল মেটাতে হবে। এমন মানুষের কথা ভেবে লড়াই চালাচ্ছে অ্যাবেকা, বলে জানান সুব্রত বিশ্বাস। উত্তর 24 পরগনার গৌরীপুর জুটমিলের উৎপাদন প্রায় বন্ধের মুখে।
সুব্রত বিশ্বাস বলেন, "বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কথা দিয়েছেন লকডাউনের সময়কালে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে না কোনও গ্রাহকের। বিদ্যুতের বকেয়া বিলের টাকা মেটাবার শেষ দিন বৃদ্ধি করা হবে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন ৷"