কলকাতা, 6 অক্টোবর : করোনার জেরে বিগত দেড় বছর ধরে রাজ্যে বন্ধ রয়েছে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ৷ যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুজোর ছুটির পরেই কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল খোলা হবে । তবে তার আগেই মঙ্গলবার পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি স্কুলে বসেছিল ক্লাস ।
পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে, কোভিড-বিধি মেনেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে স্কুলে ৷ এমনটাই দাবি পিকনিক গার্ডেনের মেরিয়ান কো-এডুকেশন স্কুল কর্তৃপক্ষের । এই বিষয়ে অভিভাবকরা জানান, উঁচু ক্লাসে বেশ কয়েকটি বিষয়ের ক্ষেত্রে যেমন পড়া বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে পড়ুয়াদের তেমনই অনলাইনে পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সময় বেশ কিছু সমস্যার কারণে পড়ুয়ারা আশানুরূপ ফল করতে পারছে না । তাই অভিভাবক ও পড়ুয়াদের তরফ থেকে দাবি ওঠে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার । বিশেষ করে অঙ্ক ও পদার্থবিদ্যা বিষয়ের ৷
আরও পড়ুন :School Special : স্কুলছুট রুখতে ছবিতে সাজল অমরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়
এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার মারিসা বলেন, "দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকার পর আজ দুটি সেশনে স্কুলে সপ্তম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের দুটি পরীক্ষা নেওয়া হয় । একটি পরীক্ষা সকালে আর একটি দুপুরে নেওয়া হয় । একবারে প্রায় 60 জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিতে এসেছিল । যেহেতু আমাদের স্কুলের হল ঘর বিরাট বড় তাই এক একটি ডেস্কে এক একজন পরীক্ষার্থীর বসার ব্যবস্থা করা হয় ।" তিনি জানান, পরীক্ষার আগে ক্লাসরুম, হলঘর ও পুরো স্কুল চত্বর ভালভাবে পরিস্কার ও স্যানিটাইজ করা হয় । পরীক্ষার্থীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয় । সকলেই মাস্ক পরে পরীক্ষা দিয়েছে ।
ওই স্কুলেরই দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী ডায়ানা মালহোত্রার কথায়, "প্রায় দেড় বছর পর আবার স্কুলে গেলাম । পুরোনো দিনের সব কথা মনে পড়ে গেল । সব বন্ধুদের সঙ্গে আবার দেখা হল । আমি স্কুলে পদার্থবিদ্যার পরীক্ষা দিয়েছি । অনলাইনে পরীক্ষার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কিছু ফাঁক থেকে যাচ্ছে বলে আমার মনে হয় । কারণ বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী অনলাইনে পরীক্ষা হচ্ছে বলে অসাধু উপায় অবলম্বন করে অনেক বেশি নম্বর পেয়ে যাচ্ছে । পাশাপাশি আগামী বছর আমার আইসিএসই (ICSE) পরীক্ষা তাই এই বছরের প্রস্তুতি আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাই অনলাইনের চেয়ে অফলাইনে পরীক্ষা হলে নিজের মূল্যায়ন ভালভাবে করতে পারব ।"
আরও পড়ুন :Schools Re-opening: পুজোর পর স্কুল খুলতে তৎপর রাজ্য, মেরামতিতে বরাদ্দ ₹100 কোটি