কলকাতা, 22 ডিসেম্বর: চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক শেষ হলেও বিতর্ক বজায় থাকল। চাকরিপ্রার্থীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, শুক্রবারের বৈঠকে তাদেরকে নির্দিষ্ট দিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের 1 ফেব্রুয়ারির মধ্যে জট কাটানোর আশ্বাস শোনা যায় তাদের মুখে। তবে তার কিছু মুহূর্ত পরেই তৃণমূল মুখপাত্র এবং শিক্ষামন্ত্রী কোনওদিন নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।
এদিন বিকাশ ভবনে দুপুর আড়াইটে নাগাদ দ্বিতীয় দফার বৈঠক শুরু করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর চাকরিপ্রার্থীদের সাত প্রতিনিধি। এছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বিকাশ ভবনের বিভিন্ন আধিকারিকরা। প্রায় দু'ঘণ্টার কাছাকাছি চলে সেই বৈঠক। বৈঠকের পরে চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং বিকাশ ভবনের বিভিন্ন আধিকারিকদের তরফ থেকে আমাদের একটা ডেট লাইন দেওয়া হয়েছে। আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে আগামী 1 ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমাদের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার যে জট তা কাটানোর হবে বলেই আমরা আশাবাদী।"
তবে চাকরিপ্রার্থীদের মুখে নির্দিষ্ট দিন শোনা গেলেও সেই বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু জানালেন না শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূল মুখপাত্র। তৃণমূল মুখপাত্রের কথা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের অনুরোধে তিনি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন প্রথম দিন। দ্বিতীয় দফার বৈঠকে তার উপস্থিতির কারণ একই। তবে তিনি বলেন, "চাকরিপ্রার্থীরা চাইছেন 31 জানুয়ারির মধ্যে তাদের যে জটিলতা রয়েছে তা কাটানো হোক ৷ তবে এই বিষয়ে প্রচুর জটিলতা রয়েছে। সেটাকে কাটানোর জন্য যা যা পদক্ষেপ তা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ রয়েছে। আজ দুই পক্ষ ঐক্যবদ্ধে পৌঁছানো গিয়েছে। তবে 1 ফেব্রুয়ারি আসে তখন দেখা যেতে পারে নতুন কোনও ভালো খবর আসে কি না।"
কার্যত, একই সুর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গলাতেও। মন্ত্রী বলেন, "ওনারা চাইছেন একটা দিনের কথা। কিন্তু অমুক দিনেই হোক তা আমি বলতে পারি না। আমি বলতে পারি মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন ওদের ন্যায্য দাবি। দাবি মানা হবে। চাকরি দেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আমার কাজ সংযোজন এর মত। মহামান্য কোট যা বলবে সেভাবেই এগানো হবে। নির্দিষ্ট কোন দিন দেওয়া হয়নি। তবে এই নিয়ে আমরা দুবার বসলাম। বৈঠকের একজন শরিক হিসাবে আমি আশাবাদী।"