কলকাতা, 29 মার্চ: জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হল কলকাতার রাজভবন ৷ যা এতদিন সরকারি ভবন হিসেবেই পরিচিত ছিল ৷ চলতি সপ্তাহে তাঁর দুই দিনের বাংলা সফরের সময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Heritage Walk in Raj Bhawan) এ কথা ঘোষণা করেন । প্রতীকী হিসেবে রাষ্ট্রপতি রাজভবনের চাবিগুলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হস্তান্তর করেন ৷
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, ঐতিহাসিক এই ভবনটি এখন থেকে 'জন রাজ ভবন' বা 'জনগণের রাজভবন' নামে পরিচিত হবে । এই সিদ্ধান্তটি ভবনের সঙ্গে যুক্ত ঔপনিবেশিক মানসিকতাকে ভেঙে ফেলার প্রচেষ্টার একটা অংশ (End of colonialism)৷ এ ছাড়াও সাধারণ মানুষ যাতে এই ভবন প্রত্যক্ষ করতে পারেন সেই অনুমতি দিতেও এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ৷
শিগগিরই ঐতিহ্যবাহী এই ভবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে । মানুষ শুধু এই ঐতিহাসিক ভবনটি দেখার সুযোগই পাবেন না, তাঁরা ভবনের বিস্তীর্ণ লন ও বাগানে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগও পাবে । যাকে বলা হবে হেরিটেজ ওয়াক ৷ রাজভবন হল কলকাতার একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন যা পূর্বে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অবস্থান ছিল। তিনটি তলা বিশিষ্ট রাজভবনে একটি বড় হল ঘর রয়েছে, যার চারটি দিকে বাঁকা করিডোর, যা বিচ্ছিন্ন চারটি দিকে নিয়ে যায়, যার প্রতিটি একটি পৃথক বাড়ির মতো । ভবনটি ইতিহাসে সমৃদ্ধ এবং এটি কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী স্থান, যা অতীতের ইতিহাসকে তুলে ধরে ৷
রাজভবনের দর্শনার্থীরা এখন নির্দিষ্ট শর্তাবলী সাপেক্ষে ভবনটি দর্শন করতে সক্ষম হবেন । পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করতে আগ্রহী ব্যক্তিদের অবশ্যই রাজ্যপালের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে ৷ স্পষ্টভাবে পরিদর্শনের তারিখ, তার উদ্দেশ্য এবং দলে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা উল্লেখ করে জানাতে হবে । বিদেশি নাগরিকদের অনুরোধের সঙ্গে তাঁদের পাসপোর্টের একটি ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে । দর্শনার্থীদের বৈধ সরকারি ফটো আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে এবং বিদেশি দর্শকদের অবশ্যই তাঁদের পাসপোর্টের ফটোকপি ও তাঁদের পরিদর্শনের দিন আসলটি সঙ্গে রাখতে হবে ।