কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর: ‘‘মনে হয়েছিল আলাউদ্দিন খলজি ৷ কিন্তু ব্যাপারটা যে মহম্মদ বিন তুঘলক হয়ে যাবে, সেটা বুঝতে পারিনি," শুক্রবার বিকাশ ভবন থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করতে গিয়ে একাধিক নামে সম্বোধন করতে শোনা গেল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে । রাজ্যপালের কর্মকাণ্ড ঘিরে একাধিকবার সরব হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী । তবে বৃহস্পতিবার ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে রাজ্য সরকার ও রাজ্য সরকারের নিয়োগকে ঘিরে যে সমস্ত মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল, তা নিয়ে চরমে ওঠে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত । আর সেই সংঘাতের আবহেই রাজ্যপালকে নিশানা করে একাধিক উপমা ব্যবহার করেন শিক্ষামন্ত্রী ।
শুক্রবার গঙ্গা আরতির সময় রাজপালের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতী উপাচার্যদের । সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পুতুল নাচের প্রসঙ্গ টেনে আনেন ব্রাত্য । শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যপাল কিছু পুতুল নিয়ে ঘুরছেন । কখনও তাঁদের ইনজেকশন ফুটিয়ে দিয়ে তাঁদের ঘুম থেকে উঠিয়ে দিচ্ছেন ৷ আবার কখনও ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছেন । এই পুতুল নাচের ইতিকথা কত দিন চলবে জানি না ! যাঁরা পুতুল হতে চাইছেন, তাঁদেরকে বলছি রাজ্য সরকার আপনাদের সম্মান দিতে চেয়েছিল । আপনার কেউ কালকা যোগী নন । গোটা দেশের কাছে বাংলার শিক্ষা উচ্চস্তরে । সেটা ধ্বংস করতে চাইছেন রাজ্যপাল । এই পুতুল খেলায় আপনারা কেন সামিল হবেন ?"
তারপরেই তিনি মুখ খোলেন রাজ্যপাল তথা আচার্যের এই একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে । তাঁর মতে, আচার্য নিজেও জানেন না এই 16টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নাম কী । শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "আমি আশা করেছিলাম কথা বলে সমস্যার সমাধান হবে । আমার মনে হয়েছিল, সাময়িক খামখেয়ালিপনা চলছে রাজ্যপালের । এখন দেখছি পুরো ব্যাপারটাই তুঘলকিও । প্রথমে মনে হয়েছিল খলজি সদৃশ (আলাউদ্দিন খলজির মতো) । কিন্তু এখন পুরো ব্যাপারটাই মহম্মদ বিন তুঘলক হয়ে যাবে, সেটা বুঝতে পারিনি ।"