কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর:শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় 19 জন রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিল শিক্ষা দফতর । বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে । শুক্রবার বিকাশ ভবনে 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর । সেই বৈঠকে 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বদলে দেখা মেলে মাত্র 12 জনকে । আচার্য তথা রাজ্যপালের 'হুমকি' শুনেই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার গার্লস বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়, কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, মহাত্মা গান্ধি বিশ্ববিদ্যালয়, মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, রানিগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাররা ।
শিক্ষক দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ৷ সেই মতোই রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক অবস্থা, পরিকাঠামোগত কোনও সমস্যা আছে কি না তা জানতে নিয়ে শুক্রবার বিকাশ ভবনে বৈঠক ডেকেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । তবে শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে আচার্যের পক্ষ থেকে যোগ না দেওয়ার বার্তা আসে বলেই অভিযোগ ওঠে । তবে এদিন 12টি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী । যে 19 জনকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা দফতর । সেই চিঠিতে জিজ্ঞেস করা হয়েছে কেন তারা শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তার কারণ জানাতে ৷
আরও পড়ুন: ব্রাত্যর বৈঠকে উপস্থিত মাত্র 12 জন রেজিস্ট্রার, রাজ্যপালকে আক্রমণ শিক্ষামন্ত্রীর
এদিনের বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যরা বলছেন, রাজভবন থেকে বলা হয়েছে রেজিস্ট্রাররা এই মিটিংয়ে যেন না আসেন । তাই আধিকারিক হয়েও সরকারি নির্দেশকে উপেক্ষা করে এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার সাহস পায়নি তারা । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক কিছু করেছেন । যারা সেটা মনে রেখেছেন তাঁরাই এদিন উপস্থিত ছিলেন ৷ "এরপরেই তিনি রাজ্যপালকে নিশানা করে প্রশ্ন করেছেন, "হুমকির বাতাবরণ তৈরি করছে কে ? হাড়হিম করা ঠান্ডাসন্ত্রাস তৈরি করছে কে ? কে তাহলে ভয় দেখছে ? রাজার বাড়ি নাকি বিকাশ ভবন ?"