কলকাতা, 8 মে:নিয়োগ দুর্নীতির মামলা যত এগচ্ছে ততই ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের সম্পত্তি ও টাকা বিষয়ক একের পর এক নতুন তথ্য সামনে আসছে ৷ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, অয়নের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আরও 2 কোটিরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে । এছাড়া অয়নের আরও প্রায় 10 কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি ৷ এর আগেও অয়নের কোটি কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির খোঁজ মিলেছিল।
জমি, ফ্ল্যাট, বাড়ি এবং বিভিন্ন অভিজাত গাড়ি মিলিয়ে ওই 10 কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে । আর অয়নের বেশিরভাগ জমি রয়েছে হুগলি জেলায় ৷ তবে সল্টলেক বা খাস কলকাতায় জমি ও ফ্ল্যাটের সংখ্যাও নেহাতই কম নয় বলে মনে করে ইডি । এর আগে অয়ন শীলের পঞ্চাশটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা । সেখান থেকেও প্রচুর টাকার খোঁজ মিলেছিল । সঠিক পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুক্ত থাকা সন্দেহে গত 19 মার্চ অয়নের সল্টলেকের বাড়ি এবং অফিসে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযান চালানো হয় ৷ এরপর অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা । মূলত অয়ন শীলের অফিস থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা । শুধু যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছে, তেমনটা নয় ৷ বরং তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, উত্তর 24 পরগনা জেলার নৈহাটি, দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবার, কাঁচরাপাড়া-সহ একাধিক পৌরসভায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি মোটা অংকের বিনিময় বিক্রি করেছে ধৃত অয়ন শীল ।
তদন্তকারীদের দাবি অয়নের সঙ্গে টলিউডের যোগাযোগ পেয়েছেন তাঁরা । মূলত কালো টাকা সাদাতে রূপান্তরিত করার ছক ছিল অয়নের । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন অয়ন শীল । তার হাত ধরেই ধীরে ধীরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপত্তি বাড়াতে থাকেন অয়ন । শান্তনুর জন্যই একজন সাধারণ প্রোমোটার থেকে ধীরে ধীরে টলিউড পর্যন্ত হাত বাড়িয়ে ফেলতে বিশেষ একটা অসুবিধা হয়নি অয়ন শীলের । এমনটাই মনে করে ইডি ।
আরও পড়ুন:দিল্লিতে একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক অয়ন, আছে অভিজাত গাড়িও ; আদালতে দাবি ইডির