কলকাতা, 14 ডিসেম্বর: রেশন দুর্নীতি মামলায় শুধু বাকিবুর রহমান এবং রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিলেন তেমনটা নয় । বরং তদন্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের দাবি, মন্ত্রীর কন্যা থেকে শুরু করে স্ত্রী-ও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিলেন । ইডি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বালুর স্ত্রী এবং কন্যার নামে 58টি ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । এই 58টি ফিক্সড ডিপোজিটের মোট টাকার অঙ্ক প্রায় তিন কোটি । একজন মন্ত্রীর মেয়ে এবং স্ত্রীর কীভাবে তিন কোটি টাকার সম্পত্তি থাকতে পারে সেই নিয়েই ইতিমধ্যে উঠেছে প্রশ্ন ।
বেশিরভাগ বেসরকারি ব্যাংকে এই এফডিগুলি করা হয়েছিল । ইতিমধ্যেই রেশন দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে ইডি । সেখানে অভিযুক্তের নামের তালিকায় প্রথমেই শুরুতেই রয়েছে বাকিবুর রহমানের নাম ৷ তারপরে রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম । জানা গিয়েছে, একসময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যের বনমন্ত্রী হয়ে যান । কিন্তু মন্ত্রিত্ব অন্য দফতরে চলে যাওয়ার পরেও তিনি খাদ্য দফতরের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাননি।
অভিযোগ, বালুর দাপট বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন খাদ্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাই। এখন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে রাজ্য মন্ত্রিসভার এই প্রবীণ সদস্যের । এমতাবস্থায় গত কয়েকদিনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঠিক কী চিকিৎসা হয়েছে এবং তিনি কীভাবে তাতে সাড়া দিয়েছেন তা জানতে এবার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে চায় ইডি আধিকারিকরা ।
সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে প্রথমে বাকিবুর রহমানের কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা ৷ তারপর বাকিবুরকে গ্রেফতার করা হয় । তাঁকে গ্রেফতারের পরই তদন্তকারীদের খাতায় উঠে আসে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম ৷ সেই সূত্র ধরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সল্টলেকের বাড়িতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালায় ইডি। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতারও করে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার তদন্তে নেমে তাঁর স্ত্রী ও কন্যার নামে থাকা 3 কোটি টাকার এফডি বাজেয়াপ্ত করা হল।