কলকাতা, 4 মার্চ: অনুব্রত মণ্ডলকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বেঞ্চের নির্দেশে এদিন বলা হয়েছে, ইডি যদি বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় তবে আগে কলকাতার কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হাসপাতালে মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে সার্টিফিকেট দেবে। পাশাপাশি অনুব্রতর দিল্লি সফরকালে মামলাকারীকে একজন মেডিক্যাল অফিসার সঙ্গে দিতে হবে এবং অবশ্যই তাঁকে বিমানে নিয়ে যেতে হবে। অনুব্রতকে পেশ করার আগে সমস্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।
একইসঙ্গে দু'টি উচ্চ আদালতে নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি অনুব্রত মণ্ডলের 1 লক্ষ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে অনুব্রত মণ্ডলকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দিল্লি এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে (Anubrata Mondal Can be Admitted to Delhi AIMS) । হাইকোর্টে এদিন শুনানিতে এমনই উল্লেখ করেন ইডির আইনজীবী। উল্লেখ্য, তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া আটকাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলায় এদিন শুনানিতে অনুব্রতর তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, "দিল্লির হাইকোর্টে ইডি এর আগে মৌখিকভাবে আশ্বাস দিয়েছিল মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত তাঁকে দিল্লিতে হাজির করানো হবে না, ততদিন তাঁকে সুরক্ষাকবচ দেওয়া হোক।"
বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, "ইডির মৌখিক কথায় আপনারা 4 মাস ধরে বিশ্বাস করলেন? যেখানে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মামলা। শুরু থেকে আপনারা বলছেন আপনার মক্কেলকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরেও মুখের কথায় বিশ্বাস করলেন? লিখিত নির্দেশ কেন নিলেন না!" পালটা আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, "আমরা পেশাগত সৌজন্যের উপর ভরসা করেছিলাম। ইডি 21 ডিসেম্বর 2022-এ জানায় তাঁর বিরুদ্ধে এখনই কিছু করা হবে না। এরপর আসানসোল আদালতও তাঁর চিকিৎসার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে। তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। ইতিমধ্যে 17 মার্চ দিল্লির আদালতে মামলার শুনানি রয়েছে। ততদিন সুরক্ষাকবচ দেওয়া হোক।" বিচারপতি চৌধুরী বলেন, "কিন্তু আমি তো মিডিয়া ট্রায়ালের ওপর ভরসা করতে পারি না।"