পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ED Raid in Kolkata: অ্যাপ সংক্রান্ত আর্থিক জালিয়াতি মামলায় তল্লাশি ইডির, উদ্ধার ৪১৭ কোটি টাকার সম্পত্তি

মহাদেব অ্যাপ সংক্রান্ত মামলায় আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে তল্লাশি ইডির ৷ কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে অভিযান ৷ বাজেয়াপ্ত ৪১৭ কোটি টাকার সম্পত্তি ৷

Etv Bharat
ছবি সৌজন্যে এক্স

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 15, 2023, 4:52 PM IST

কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর:মহাদেব অ্যাপ সংক্রান্ত মামলায় বেআইনি ব্যবসার অভিযোগে কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন মেট্রো সিটিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে শুক্রবার মোট 417 কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) গোয়েন্দারা । নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে এই তথ্য জানিয়েছে ইডি । ইডি সূত্রের খবর, এই প্রতারণার চক্রের সদর দফতর দুবাইতে হলেও মূলত এই জালিয়াতির প্রথম সূত্রপাত হয়েছিল ছত্তিসগড় জেলার দুর্গ শহরে । সেই ঘটনার তদন্তে নামে ইডি ।

তদন্ত নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে শুধুমাত্র দুবাই নয় বরং দেশের বিভিন্ন মেট্রো সিটিতে মহাদেব ব্যাটিং অ্যাপ নিজেদের জাল বিস্তার করেছে । এক্স হ্যান্ডেলে ইডি জানিয়েছে তদন্ত নেমে তারা ভোপাল মুম্বই এবং কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অফিস থেকে বিভিন্ন সোনার বিস্কুট-সহ একাধিক সন্দেহজনক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে ।

ইডি সূত্রের খবর, ছত্রিশগড়ের দুর্গ জেলায় বছরখানেক আগে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা একজন পুলিশ আধিকারিককে এই সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রেফতার করেছিল । ইডি সূত্রের খবর, মূলত এই সংস্থাটি একটি লটারি সংস্থা হিসেবে নিজেদের তুলে ধরলেও আড়ালে এরা বিভিন্ন বেটিং চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল ৷ 2022 সালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে পাঁচ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির তদন্ত করে । তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, বেটিংয়ে লাগানো টাকা বিভিন্ন সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা করত অভিযুক্তরা । এসব অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল বিভিন্ন ব্যক্তির জাল পরিচয়পত্র দিয়ে ।

আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ইডিকে নথি দেয়নি সিআইডি, রাজ্যকে 50 লক্ষ জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

ইডি সূত্রের খবর, সাধারণ গরিব মানুষদের কাছ থেকে সামান্য টাকার বিনিময়ে তাদের আধার কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিত প্রতারকরা । ইতিমধ্যেই সেই সকল ব্যক্তিদের চিহ্নিত কারার চেষ্টা করছে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা । অভিযোগ, পরে এই সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমে থাকা টাকা নিজেদের কর্পোরেট অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করে নিত এই জালিয়াত চক্র । পুরো বিষয়টি এমন সু-দক্ষতার সঙ্গে করা হতো যাতে কখনওই সেভিংস অ্যাকাউন্টগুলিতে সর্বোচ্চ 50-60 লক্ষ টাকার বেশি না থাকে ৷ আর তাতে কারও যাতে সন্দেহ না হয় । ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর, এই বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । ফলে এই মামলায় দুবাইতে গিয়েও তারা তদন্ত প্রক্রিয়া চালাতে পারেন ইডি আধিকারিকরা ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details