কলকাতা, 17 মার্চ:2017 সাল থেকে বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ৷ ওই সময় থেকেই শান্তনু ও তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি (Santanu Banerjee and Priyanka Banerjee Bank Balance) ফুলে ফেঁপে ওঠে ! এর পিছনে কী রহস্য রয়েছে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate) ৷
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে (WB Recruitment Scam) ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) দীর্ঘ সময় ধরে আলাদা আলাদাভাবে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা (ED Interrogation) ৷ আর তাতেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শান্তনু ও তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার 'নজরকাড়া লক্ষ্মীলাভ' শুরু হয় 2017 সালের একেবারে প্রথম থেকে ৷ ওই সময় বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির ব্যাংক অ্য়াকাউন্টের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে ৷ তাতে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণও বহু বহুগুন ফুলে ফেঁপে ওঠে ৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ে তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সংখ্যাও ৷
শান্তনু ও তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে একাধিক বাড়ি, গাড়ি, বাংলো, ফ্ল্যাট, হোম স্টে, ধাবা, রেস্তোরাঁ আরও অনেক কিছু ৷ এমনকী, নির্মীয়মান বহু প্রকল্পে বিপুল বিনিয়োগও করেছেন এই দম্পতি ৷ কোন উপায়ে শান্তনু ও প্রিয়াঙ্কা এই 'কুবেরের ধন' তৈরি করলেন, তা জানতে মরিয়া ইডি ৷ এর জন্য প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান গোয়েন্দারা ৷ তাঁদের নজরে রয়েছে এমন কিছু ব্যাংক অ্য়াকাউন্ট, যেগুলি হয় 2017 সাল বা তার পরে খোলা হয়েছিল, আর তা না হলে 2017 সাল থেকে তাতে গচ্ছিত অর্থ ও আর্থিক লেনদেন মারাত্মক হারে বেড়ে গিয়েছিল ৷ এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করতেন প্রিয়াঙ্কা ৷ তাই তাঁর কাছে এই অ্যাকাউন্টগুলি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য থাকা উচিত বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রিয়াঙ্কাকে ডেকে পাঠাতে পারে ইডি ৷