কলকাতা, 31 মে:প্রায় 12 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। মূলত এর আগের দিন অর্থার সোমবার তাঁর হিসাবরক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। হিসাবরক্ষকের দেওয়া বয়ান এদিন সামনে এনে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে ক্রস কোশ্চেনিং করেন তদন্তকারীরা। সেখানেই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কথাবার্তায় বিস্তর অসংগতি লক্ষ্য করেন তদন্তকারীরা। আর তারপরই তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত।
পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবার পর্বে কুন্তল ঘোষের নাম সামনে আনেন তদন্তকারীরা। সুজয়ের কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে চান, তিনি কুন্তল ঘোষকে কীভাবে চিনতেন এবং কেন তিনি কোনও দলের থেকে টাকা নিতেন এবং সেই টাকা কোন কোন প্রভাবশালীদের পৌঁছে দিতেন? তবে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র তদন্তকারীদের শুধু অসহযোগিতা করেছেন তেমন নয় বরং বিভ্রান্তিকর উত্তর দিয়েছেন বলেই ইডি সূত্রের খবর। তাদের দাবি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র সত্যিই ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করেন এবং তদন্তকারীদের অসহযোগিতা করছেলে। ফলে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে অবশেষে 12 ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন:জেল সুপারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পার্থর, পালটা দিলেন কুণাল
আজ বুধবার সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে আদালতে পেশ করবে ইডি। আদালতে পেশ করে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। গ্রেফতার করার কিছুদিন আগে তাঁর বেহালার বাড়িতে প্রায় 15 ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালান ইডির তদন্তকারীরা। সেখান থেকে তদন্তকারীরা উদ্ধার করেছিলেন একাধিক ডিজিটাল নথিপত্র-সহ বিভিন্ন কাগজপত্র, ডায়েরি, পেনড্রাইভ এবং মোবাইল ফোন। তদন্তকারীদের দাবি, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে জানা গিয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র 40 লক্ষ টাকার একটি লেনদেনও করেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্ররের কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে চান যে ওই 40 লক্ষ টাকার উৎস কী? সেই বিষয়ে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। মঙ্গলবার সকাল 11টায় সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তিনি বেশ কিছু ফাইল এবং ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। মঙ্গলবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মোট তিনজন আধিকারিক 6 দফায় সুযোগ কৃষ্ণ ভদ্রকে প্রায় 12 ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে একাধিক প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে তদন্তকারীদের বিভ্রান্তিকর তথ্য সামনে আনার অভিযোগ আনা হয় সুজয়বাবুর বিরুদ্ধে। অবশেষে মঙ্গলবার রাত 11টা নাগাদ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে ইডি ৷
আরও পড়ুন:মরার আগে যেন বিচারটা দেখে যেতে পারি, কোর্টে আর্জি পার্থর