কলকাতা, 25 অক্টোবর: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (TET Recruitment Scam) মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ফের মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় । এদিন ইডির তরফে ফের মানিকের 14 দিনের হেফাজতের আবেদন জানানো হয় । পরে আদালত মানিককে 28 অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে ৷
আদালতে ইডির (ED) দাবি, 14 দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ৷ কিন্তু মানিক ভট্টাচার্য কোনও সহযোগিতা করেননি । বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে । বেশ কয়েকটি আত্মীয়র অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে । মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট টাকা রয়েছে ।
মানিক ভট্টাচার্যর আইনজীবীর বক্তব্য আদালতে ইডির তরফে আরও দাবি করা হয়, মানিকের সঙ্গে 4000 জন যোগাযোগ করেছিলেন চাকরির জন্য ৷ তাঁদের মধ্যে 250 জনের চাকরি হয়েছে । 600টি ডিএলএড প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে । ডিএলএড কলেজগুলি (DLD College) থেকে 5000 টাকা করে প্রতিটি চাকরি প্রার্থীদের থেকে নেওয়া হতো । অনলাইন ও অফলাইনে টাকা নেওয়া হতো । মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য আর মানিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে 2.47 কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে । সব মিলিয়ে 10 কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে ।
সেই কারণে আদালতের কাছে ইডির আবেদন, মানিকের আরও 14 দিনের জেল হেফাজতে প্রয়োজন এবং জেলে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা যাতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন, সেই অনুমতি দেওয়া হোক । তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে নিয়ম মতো । আর কিছু কাগজপত্র এখনও জোগাড় করা হয়নি, সেটা জোগাড় করতে হবে । মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যাক্তির সঙ্গে মানিক ভট্রাচার্যর স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে । কিন্তু ওই ব্যাক্তি 2016 সালে মারা গিয়েছেন । যৌথ অ্যাকাউন্টে প্রায় 3 কোটি টাকা রয়েছে । যা দুর্নীতির টাকা বলেই মনে করছে ইডি ।
অন্যদিকে মানিক ভট্টাচার্যর আইনজীবী বলেন, সল্টলেক হাসপাতালের আশে পাশে নিয়ে না গিয়ে জোকা ইএসআই (Joka ESI) হাসপাতালে কেন শারীরিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে ! মানসিক ভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে মানিক ভট্টাচার্যকে । জিজ্ঞাসাবাদের নামে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে । তাঁর 70 বছর বয়স । শারীরিক পরিস্থিতির কথা আদালতে বিচার করা উচিত । আদালতে ইডি এই নিয়ে জানিয়েছে, জোকা ইএসআইতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার কারণ, এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল ৷
আরও পড়ুন:নিয়োগ দুর্নীতিতে বিএড কলেজ থেকেও কমিশন নিয়েছেন মানিক ! তদন্তে ইডি